ছোট মাছের মধ্যে মৌরলা, বাটা, চারাপোনা এবং পুঁটি বাঙালির প্রিয়। শুধু স্বাদে নয়, এগুলির পুষ্টিগুণও অসামান্য। এই ছোট মাছের উপকারিতা জানলে অবাক হয়ে যাবেন।
ছোট মাছ প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন এবং ভিটামিন ডি-তে ভরপুর। এগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং হাড় মজবুত করতে কার্যকর।
মৌরলা ছোট আকৃতির হলেও এতে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন এবং ওমেগা-৩। এটি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। মৌরলা মাছের শুঁটকি রূপেও পুষ্টিগুণ অটুট থাকে।
বাটা মাছ হজমশক্তি বাড়ায় এবং ওজন কমাতে সহায়ক। এটি লিভারের কার্যক্ষমতা উন্নত করে এবং শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে।
চারাপোনায় থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, যা রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। এটি গর্ভবতী নারীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে চারাপোনা খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।
পুঁটি মাছ ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস সমৃদ্ধ। এটি হাড় ও দাঁত মজবুত করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও এটি খুব উপকারী।
ছোট মাছ রান্না করার সময় বেশি তেল ও মশলা এড়িয়ে চলুন। ভাপে বা সরষে দিয়ে রান্না করলে পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন থাকে।
মৌরলা, বাটা, চারাপোনা এবং পুঁটি শুধু বাঙালির খাদ্য সংস্কৃতির অংশ নয়, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের চাবিকাঠিও বটে। প্রতিদিনের ডায়েটে এই ছোট মাছ রাখলে শারীরিক সুস্থতা বজায় থাকে। তাই আজ থেকেই ছোট মাছ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।