Advertisement

Menstrual Hygiene To Avoid Infection: পিরিয়ডের সময় এই ভুল করছেন না তো? সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সাবধান!

পিরিয়ডের সময়ে সঠিক পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা এবং সঠিক খাবার খাওয়া খুবই জরুরি। মাসের এই সময়কালে কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জানুন এই স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে কী কী সমস্যা হতে পারে।   

প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 14 May 2024,
  • अपडेटेड 5:49 PM IST

পিরিয়ড, একজন মহিলার শরীরের অত্যাবশ্যকীয় প্রক্রিয়াগুলির মধ্যে একটি। পিরিয়ডের সময়ে সঠিক পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা এবং সঠিক খাবার খাওয়া খুবই জরুরি। মাসের এই সময়কালে কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজও দেশের মহিলাদের একটি বড় অংশ তাদের আর্থিক অবস্থার কারণে স্বাস্থ্যকর কিছু অভ্যাস মেনে চলতে বাধ্য হয়। জানুন এই স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে কী কী সমস্যা হতে পারে।   

ইরোজেনাইটাল ইনফেকশন (Urogenital Infections) 

পিরিয়ডের সময় সঠিক স্বাস্থ্যবিধি না মানলে, বিভিন্ন সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় জানা যাচ্ছে, যে মহিলারা স্যানিটারি ন্যাপকিন, ট্যাম্পন বা মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করেন না, তাদের ইরোজেনাইটাল  ইনফেকশনে অর্থাৎ মূত্র সংক্রান্ত বা যৌনাঙ্গের সংক্রমণে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। 

মূত্রনালীর সংক্রমণ (Urinary Tract Infection/ UTI) 

পিরিয়ডের স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে, মূত্রনালীর সংক্রমণ হতে পারে। মহিলাদের জন্য এই সংক্রমণ খুব কঠিন হতে পারে। এই রোগ হয়, যখন মূত্রাশয়ে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হয়। এটি কিডনিতেও প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া প্রস্রাবের সময় পেট ব্যথা, যৌনাঙ্গে জ্বালা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।  

ছত্রাক সংক্রমণ (Yeast/ Fungal Infection)

স্যানিটারি ন্যাপকিন পরিবর্তন করার আগে ও পরে, হাত ধোয়া গুরুত্বপূর্ণ। যারা তা করেন না তাদের ছত্রাক সংক্রমণ,  এমনকী হেপাটাইটিস বি-তে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে। এছাড়া অপরিষ্কার স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করলেও বেশ কিছু স্বাস্থ্যের ঝুঁকি হতে পারে।

সার্ভিকাল ক্যান্সার (Cervical Cancer)

সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে সার্ভিকাল ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে। এজন্যে অত্যন্ত সাবধান থাকা জরুরি। 

সংক্রমণ এড়াতে কোন নিয়মগুলি মানবেন? 

* পিরিয়ডের সময়, প্রতি ৪-৬ ঘণ্টার মধ্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বা ট্যাম্পন পরিবর্তন করা উচিত। এতে ভ্যাজাইনাল সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। যাদের পিরিয়ডের সময় যোনিপথে চুলকানি, ফুসকুড়ি, জ্বালা ইত্যাধি সমস্যা দেখা দেয়, এই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে, এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। 

Advertisement

* আপনার যোনি নিয়মিত পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বেশির ভাগ মানুষই সঠিক উপায় তা পরিষ্কার করেন না নিয়মিত। যোনি থেকে মলদ্বার পর্যন্ত আপনার হাত ব্যবহার করে, প্রিশকার করুন, একেবারেই এর উল্টোটা নয়। মলদ্বার থেকে যোনিপথে আপনার হাত নড়াচড়া করলে মলদ্বার থেকে ব্যাকটেরিয়া যোনিপথে বা মূত্রনালীতে সংক্রমণ হতে পারে। 

* বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যোনির ত্বক খুবই নরম। তাই এখানে সাবান ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। ইনটিমেট ওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। তবে কেনার সময় অবশ্যই পিএইচ ব্যাল্যান্স দেখে নেবেন এবং বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন। তবে সেক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে, প্রতিদিন ব্যবহার করলেও পিরিয়ডের সময় এই ধরণের পণ্যগুলি ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। 

* আপনার ব্যবহার করা ট্যাম্পন এবং স্যানিটারি ন্যাপকিন সঠিকভাবে নিষ্পত্তি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফেলে দেওয়ার আগে সঠিকভাবে মুড়ে ফেলুন, যাতে ব্যাকটেরিয়া এবং সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে। এরপর সঠিকভাবে হাত ধোয়া জরুরি। 

* অনেক মহিলার মধ্যে ভারী ফ্লোয়ের সময় ট্যাম্পন এবং স্যানিটারি ন্যাপকিন বা দুটি স্যানিটারি ন্যাপকিন একসঙ্গে ব্যবহার করার প্রবণতা দেখা যায়। যদিও এতে বিপদের আশঙ্কা কম, তবে এটি সংক্রমণও ঘটাতে পারে। একটি স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। ভারী প্রবাহের কারণে সেটি প্রয়োজনে কম সময়ের ব্যবধানে পরিবর্তন করুন।

 
 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement