Advertisement

Stroke VS Heart Attack: স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের পার্থক্য কী? অনেকেই গুলিয়ে ফেলেন

আজ বিশ্ব স্ট্রোক দিবস। সারা পৃথিবীতে পালিত হচ্ছে এই দিনটি। মূলত স্ট্রোকের কারণ, প্রতিরোধের উপায় এবং চিকিৎসা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোই এই দিনটি পালনের মূল লক্ষ্য। কিন্তু মুশকিল হল, প্রতিবছর নিয়ম করে এই দিনটি পালন করার পরও গোড়াতেই গলত রয়ে যাচ্ছে। একাংশের মানুষ ধরতেই পারছেন না স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের পার্থক্য। তাই আজ এই বিশেষ দিনে দু'টি অসুখের পার্থক্য নিয়েই কথা বলব আমরা। আশা করছি, তাহলে আপনাদের মনের অতলে থাকা বিভ্রান্তি কেটে যাবে।

স্ট্রোক না হার্ট অ্যাটাকস্ট্রোক না হার্ট অ্যাটাক
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 29 Oct 2025,
  • अपडेटेड 10:17 AM IST
  • প্রতিবছর নিয়ম করে এই দিনটি পালন করার পরও গোড়াতেই গলত রয়ে যাচ্ছে
  • প্রতিবছর নিয়ম করে এই দিনটি পালন করার পরও গোড়াতেই গলত রয়ে যাচ্ছে
  • একাংশের মানুষ ধরতেই পারছেন না স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের পার্থক্য

আজ বিশ্ব স্ট্রোক দিবস। সারা পৃথিবীতে পালিত হচ্ছে এই দিনটি। মূলত স্ট্রোকের কারণ, প্রতিরোধের উপায় এবং চিকিৎসা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোই এই দিনটি পালনের মূল লক্ষ্য। কিন্তু মুশকিল হল, প্রতিবছর নিয়ম করে এই দিনটি পালন করার পরও গোড়াতেই গলত রয়ে যাচ্ছে। একাংশের মানুষ ধরতেই পারছেন না স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের পার্থক্য। তাই আজ এই বিশেষ দিনে দু'টি অসুখের পার্থক্য নিয়েই কথা বলব আমরা। আশা করছি, তাহলে আপনাদের মনের অতলে থাকা বিভ্রান্তি কেটে যাবে।

হার্ট অ্যাটাক কী?

এটি হার্ট বা হৃৎপিণ্ডের অসুখ। আসলে আমাদের সারা শরীরের মতো হার্টকেও নিজের কাজ করার জন্য অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের প্রয়োজন হয়। আর এই বিশুদ্ধ রক্ত হার্টে পৌঁছে যায় কয়েকটি ধমনীর মাধ্যমে। মুশকিল হল, এই সব রক্তনালীর অন্দরে অনেক ক্ষেত্রেই ক্ষতিকর সব উপাদান জমে যায়। এগুলিকে প্লাক বলে। এর ফলে হৎপিণ্ডে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল ব্যাহত হতে পারে। যার জন্য অনেক সময়ই হৃদপেশি কাজ বন্ধ করে দেয়। আর এই সমস্যাকেই বলা হয় হার্ট অ্যাটাক। এই অসুখে আক্রান্তের দ্রুত চিকিৎসা দরকার। তাহলেই প্রাণ বেঁচে যাবে।

এই অসুখে আক্রান্ত হলে বুকে ব্যথা হতে পারে। বুকে চাপ লাগতে পারে। শ্বাসকষ্ট হতে পারে। পাশাপাশি ঘোরাতে পারে মাথা।

আর দুঃখের বিষয় হল, অনেকে এই অসুখকেই স্ট্রোকের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন। যদিও স্ট্রোক একবারেই অন্য অসুখ।

স্ট্রোক কী?

স্ট্রোক হয় ব্রেনে। এটি মস্তিষ্কের অসুখ। এই রোগে আক্রান্তের মস্তিষ্কের কোনও একটি রক্তনালীতে কোনও বাধা বা ব্লকেজ তৈরি হয়। যার ফলে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল হয় না। এর ফলে মস্তিষ্কের কোষের দ্রুত মৃত্যু ঘটে। এই ধরনের স্ট্রোকে ইস্কেমিক স্ট্রোক বলে।

আবার অনেক ক্ষেত্রে রক্তনালী ছিঁড়ে যেতে পারে। এই সমস্যাকে বলা হয় হেমারেজিক স্ট্রোক।

এই অসুখে আক্রান্ত হলে শরীরে একাধিক লক্ষণ ফুটে ওঠে। যেমন ধরুন- শরীরের ভারসাম্য রাখতে সমস্যা, কথা জড়িয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, বমি হওয়া, চোখে কম দেখা, শরীরের একদিক প্যারালিসিস হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

Advertisement

মাথায় রাখবেন, স্ট্রোক হল এমার্জেন্সি। এই রোগে আক্রান্ত হলে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে। তাহলেই বাঁচবে প্রাণ।

আশা করছি, এতদূর পড়ার পর আপনার কাছে স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের পার্থক্য বুঝে গিয়েছেন। তাই এরপর আর ভুল নয়।

বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।

Read more!
Advertisement
Advertisement