Advertisement

Ozempic in India: ভারতে ছাড়পত্র পেল ওজেমপিক, এবার এক ইঞ্জেকশনেই রোগা?

ভারতে ছাড়পত্র পেল ওজেমপিক (Ozempic)। ডেনমার্কের সংস্থা নোভো নরডিস্ক এর বহুল চর্চিত ওষুধ ওজেমপিকে (Ozempic) অনুমোদন দিল ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (CDSCO)।

ভারতে অনুমোদন পেল ওজেমপিক।ভারতে অনুমোদন পেল ওজেমপিক।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 29 Sep 2025,
  • अपडेटेड 11:07 AM IST
  • ভারতে ছাড়পত্র পেল ওজেমপিক (Ozempic)।
  • ডেনমার্কের সংস্থা নোভো নরডিস্ক এর বহুল চর্চিত ওষুধ ওজেমপিকে (Ozempic) অনুমোদন দিল ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (CDSCO)।

ভারতে ছাড়পত্র পেল ওজেমপিক (Ozempic)। ডেনমার্কের সংস্থা নোভো নরডিস্ক এর বহুল চর্চিত ওষুধ ওজেমপিকে (Ozempic) অনুমোদন দিল ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (CDSCO)। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ঘোষিত এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে ভারতে টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীরা ডায়েট ও ব্যায়ামের পাশাপাশি কিংবা মেটফরমিন সহ্য না হলে একক চিকিৎসা হিসেবেও ওজেমপিক নিতে পারবেন।

ওজেমপিক আসলে সেমাগ্লুটাইড ইনজেকশন, যা GLP-1 রিসেপ্টর অ্যাগোনিস্ট হিসেবে কাজ করে। এটি রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং দীর্ঘমেয়াদে হৃদরোগ ও কিডনির ঝুঁকি কমাতেও সক্ষম বলে ক্লিনিক্যাল গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে। ওষুধটি ১.৩৪ মিগ্রা/মিলি ইনজেক্টেবল সলিউশন আকারে পাওয়া যাবে। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এটি স্থূলতা কমানোর জন্য অনুমোদিত হয়নি। নোভো নরডিস্ক এর আগে ভারতে স্থূলতা নিয়ন্ত্রণের জন্য ওয়েগোভি (Wegovy) বাজারে এনেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে ডায়াবেটিসের বোঝা ভয়ঙ্কর হারে বাড়ছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ১০.১ কোটি মানুষ টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। পাশাপাশি ২৫ কোটির বেশি মানুষ স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছেন। হৃদরোগ ইতিমধ্যেই মৃত্যুর প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি। এই পরিস্থিতিতে ওজেমপিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হতে চলেছে।

আরও পড়ুন

নোভো নরডিস্ক ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিক্রান্ত শ্রোত্রিয়া জানিয়েছেন, “ওজেমপিক টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। পাশাপাশি ওজন কমানো, হৃদরোগ ও কিডনির ঝুঁকি হ্রাসের মতো বাড়তি বেনেফিটও রোগীদের দেবে।”

ভারতের দ্রুত প্রসারমান GLP-1 থেরাপি সেগমেন্টে ওজেমপিকের প্রবেশকে বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থা ইলাই লিলি এ বছর মার্চে ভারতে এনেছে মাউনজারো (tirzepatide), যা সপ্তাহে একবার ইনজেকশনের মাধ্যমে টাইপ ২ ডায়াবেটিস ও স্থূলতা—দুটো ক্ষেত্রেই কার্যকর।

বিশ্লেষকদের মতে, ভারতে ওজেমপিকের অনুমোদন রোগীদের জন্য আরও বিস্তৃত চিকিৎসার পথ খুলে দেবে। দেশের অ্যান্টি-ওবেসিটি ওষুধের বাজার বর্তমানে ৩,০০০–৩,৫০০ কোটি টাকার, যা ২০৩০ সালের মধ্যে বেড়ে প্রায় ২৫,০০০ কোটি টাকায় পৌঁছতে পারে বলে অনুমান।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement