গা ম্যাজম্যাজ করছে? শরীর দুর্বল দুর্বল লাগছে? এসব লক্ষ্মণ থাকলে অনেকেই চোখ বন্ধ করে টপাটপ প্যারাসিটামল খেয়ে ফেলেন। ভারতীয়দের কাছে এ যেন 'রেসকিউ পিল'। কিছু হলেই প্যারাসিটামল খেয়ে ফেলেন অনেকেই। তাই প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতেই এই ওষুধ থাকেই। জ্বর, জ্বর জ্বর ভাব, গা-হাত-পা ব্যথা থেকে রেহাই পেতে প্যারাসিটামল বড় ভরসা। তবে রোগ সারানোর জন্য যে প্যারাসিটামল খাই আমরা, সেই প্যারাসিটামলই অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে কঠিন রোগ বাসা বাঁধতে পারে।
অনেকেই জ্বর বা গা-হাত-পা ব্যথার সামান্য লক্ষ্মণ থাকলেই প্যারাসিটামল খান। চিকিৎসকের পরামর্শ না মেনেই এই ওষুধ খান অনেকে। ফলে হিতে বিপরীত হয়। প্যারাসিটামের মাত্রাতিরিক্ত ডোজ শরীরে গেলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্যারাসিটামল বেশি খেলে কী হয়?
বেশি পরিমাণে প্যারাসিটামল খেলে লিভারের ক্ষতি হতে পারে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনেই এই ওষুধ খাওয়া উচিত। শুধু তাই নয়, বেশি পরিমাণে প্যারাসিটামল খেলে শরীরে প্রদাহ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্যারাসিটামল নিরাপদ ওষুধ ঠিকই, তবে মাত্রাতিরিক্ত খেলে লিভার নষ্ট হতে পারে। লিভারের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। যার ফলে শরীর বিগড়ে যাবে।
কত পরিমাণ প্যারাসিটামল খাবেন?
প্যারাসিটামল বেশি খেলে বিপদ। তা হলে বুঝবেন কী ভাবে, যে দিনে ক'টা ট্যাবলেট খাওয়া উচিত? জেনে নিন...
* বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে ২-৩টি ট্যাবলেট খেতে পারেন।
* দরকারে অর্ধেক ট্যাবলেট খান।
* ভারতে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন জানিয়েছে, প্রাপ্তবয়ষ্করা দিনে ৪ গ্রাম প্যারাসিটামিল খেতে পারেন। তবে কখনওই ৭-১০ গ্রামের বেশি খাওয়া উচিত নয়।
* দিনে ৪ গ্রামের বেশি প্যারাসিটামল খাওয়া ঠিক নয়। তা না হলে লিভারের বারোটা বাজতে পারে।