ওজন কমানোর জন্য জিভের সঙ্গে সমঝোতা করেন অনেকেই। পছন্দের খাবারগুলি দূরে রাখেন। পাছে আবার ওজন বাড়তে শুরু করে। এ কথা ঠিকই, ওজন ঝরানোর জন্য ডায়েট করলে উচ্চ ক্যালোরি ও ফ্যাটযুক্ত ফাস্টফুড খাবারের তালিকা থেকে বা দেওয়া উচিত। বিশেষ করে ভাজাভুজি ও চিনি। কিন্তু দেখা যায়, পছন্দের খাবার বাদ দিয়ে অনেকেই অবসাদে ভোগেন। মেজাজ খারাপ হয়। এখন প্রশ্ন হল, ফুচকাও কি একেবারে বর্জন করা উচিত রোগা হওয়ার জন্য? নাকি ফুচকায় শরীরে মেদ জমে না?
এ ক্ষেত্রে সুখের বিষয় হল, যাঁরা ফুচকা খেতে ভালোবাসেন এবং ডায়েটের কারণে ফুচকা খাচ্ছেন না, তাঁদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। ফুচকা অন্যতম কম ক্যালোরিযুক্ত একটি মুখরোচক খাবার। ফুচকা খেয়েও ওজন ঝরানো সম্ভব।
কীভাবে ফুচকা খেলে ওজন বাড়ে না?
শরীরের ওজন না বাড়িয়ে ফুচকা খেতে হলে কখনওই মিষ্টি চাটনি দিয়ে খাবেন না। টক জল দিয়েই খেতে পারেন। ফুচকা মুখে পুরে দেওয়ার পরে অনেকেরই আর হুঁশ থাকে না, কতগুলো চলছে। 'আমি দিতে থাকি, তুই নিতে থাক' পরিস্থিতি তৈরি হয়। ফুচকাওয়ালাও থামেন না, আপনিও থামেন না। এই রকম অবস্থা হলে, সাবধান হতেই হবে। আসলে কোনও খাবারই অতিরিক্ত ভাল নয়।
দিনের কোন সময় ফুচকা খেলে মেদ বাড়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে কম?
ফুচকা সাধারণত অনেকেই বিকেলের দিকে খান। তবে ডায়েটিশিয়ানরা বলছেন, ফুচকা সন্ধ্যায় বা রাতে না-খাওয়াই ভাল। সবচেয়ে ভাল হয় যদি, সূর্য ডোবার আগে ফুচকা খেতে পারেন। ফুচকায় সাধারণত আলু, মটর, ছোলা, ধনেপাতা, লেবুর রস, কাঁচা লঙ্কা, জিরে গুঁড়ো ইত্যাদি থাকে। এইগুলি শরীরের কোনও ক্ষতি করে না। তবে স্বাদ ও স্বাস্থ্য ভারসাম্য রাখতে, আলু ছাড়াও খেতে পারেন ফুচকা। ফুচকায় নুন কম খান। কারণ, বেশি নুন শরীরে ওয়াটার ওয়েট বেড়ে যায়।
কতগুলি ফুচকা খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা অনেক কম?
ওজন কমানোর সবচেয়ে ভাল ফর্মুলা হল, কম খাওয়া। অর্থাত্ পুরোপুরি বর্জন না করে পরিমাণে কম খেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ছোট মাপের ৬টি ফুচকা খেলে ওজন বজায় রাখা সম্ভব। ফুচকায় টক জল থাকার কারণে শরীর খুবই জল টানে। তাই যে দিন ফুচকা খাবেন সে দিন সারা দিন জল খাওয়ার উপর জোর দিন। দিনে অন্ত আট থেকে ১০ গ্লাস জল সে দিন অবশ্যই খাওয়া উচিত।