বর্তমানে ফিটনেস সচেতন অনেক মানুষ শরীরচর্চার পাশাপাশি প্রোটিন পাউডার ব্যবহার করেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিরভাগ মানুষ প্রোটিন পাউডার গ্রহণের সময় কিছু সাধারণ ভুল করেন, যার ফলে প্রত্যাশিত উপকার মেলে না, বরং শরীরের ক্ষতিও হতে পারে। নিচে প্রোটিন পাউডার ব্যবহারের সময় যে ১০টি ভুল এড়ানো উচিত তা তুলে ধরা হলো—
সঠিক তথ্য ছাড়া প্রোটিন নির্বাচন
বাজারে উদ্ভিদ-ভিত্তিক (সয়া, মটর, চাল) এবং দুগ্ধ-ভিত্তিক (হুই, কেসিন) বিভিন্ন প্রোটিন পাউডার পাওয়া যায়। শরীরের ধরণ ও প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিকটি বেছে নিতে হবে।
নকল পণ্য কেনা
অনেক ব্র্যান্ড ভেজাল প্রোটিন বিক্রি করে, যেখানে ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকতে পারে। তাই সর্বদা অফিসিয়াল উৎস থেকে পণ্য কিনতে হবে।
প্রাকৃতিক প্রোটিন উপেক্ষা করা
শুধুমাত্র সাপ্লিমেন্টের উপর নির্ভর না করে ডাল, ডিম, দই, পনিরের মতো প্রাকৃতিক উৎস থেকেও প্রোটিন নিতে হবে।
দুধের সঙ্গে মেশানো
অনেকেই দুধে প্রোটিন মিশিয়ে খান, যা হজমে সময় নেয়। বিশেষ করে ওয়ার্কআউটের আগে বা পরে জলের সঙ্গে খাওয়াই ভালো।
অতিরিক্ত গ্রহণ
প্রয়োজনের চেয়ে বেশি প্রোটিন পাউডার কিডনির ক্ষতি করতে পারে। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী, শরীরের প্রতি কেজি ওজনের জন্য প্রায় ১ গ্রাম প্রোটিন যথেষ্ট।
কম জল খাওয়া
পর্যাপ্ত জল না খেলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হতে পারে।
ফাইবার উপেক্ষা করা
হজম ভালো রাখতে প্রোটিনের সঙ্গে ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি।
শুধু ওয়ার্কআউট-পরবর্তী সময়ে সীমাবদ্ধ রাখা
প্রোটিন যেকোনও সময় খাওয়া যায়, সকালের জলখাবারে, স্ন্যাকস হিসেবে কিংবা স্মুদিতে মিশিয়ে।
উপাদান পরীক্ষা না করা
অনেকেই ব্র্যান্ডের রিভিউ না দেখে বা উপাদান যাচাই না করেই কেনেন। সবসময় লেবেল পড়ে এবং সঠিক উৎস দেখে কিনতে হবে।
শারীরিকভাবে সক্রিয় না হয়েও ব্যবহার
যারা ব্যায়াম করেন না, তাদের অতিরিক্ত প্রোটিনের দরকার নেই। স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় প্রোটিন চাহিদা খাবার থেকেই মেটে।