শ্রাবণ মাসে উপবাস হিন্দু ধর্মে আধ্যাত্মিক শৃঙ্খলার প্রতীক হিসেবে মানা হয়। তবে সারাদিন না খেয়ে থাকার পর কীভাবে এবং কী খেয়ে উপোস ভাঙবেন, সেটি শরীরের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভুল খাবার খেলে পেটের সমস্যা, ক্লান্তি বা হজমের গোলমাল দেখা দিতে পারে। নিচে রইল এমন ৫টি খাবার ও পানীয়ের তালিকা, যা উপোস ভাঙার সময় শরীরকে সতেজ ও সক্রিয় রাখতে দারুণ কার্যকর।
১. লেবু জল / ডাবের জল / ঘোল
উপোস ভাঙার আগে খালি পেটে এক গ্লাস লেবু জল, ডাবের জল বা ঘোল খেলে শরীরে জল ও খনিজ লবণের ভারসাম্য ফিরে আসে এবং হজমে সাহায্য করে।
২. ফল ও শুকনো ফল
আপেল, কলা, পেয়ারা, খেজুর, কিশমিশ বা বাদাম, এই ধরনের খাবারে থাকে প্রাকৃতিক চিনি ও ফাইবার, যা দ্রুত শক্তি জোগায় এবং শরীরকে ফুরফুরে করে তোলে।
৩. খিচুড়ি / সাবুদানা খিচুড়ি
হালকা, সহজপাচ্য এবং পুষ্টিকর খাবার হিসেবে খিচুড়ি বা সাবুদানা খিচুড়ি শ্রাবণের উপোস ভাঙার জন্য আদর্শ। এটি পেটে চাপ ফেলে না এবং দ্রুত হজম হয়।
৪. আদা-তুলসী চা বা ধনেপাতার জল
এই ধরনের ভেষজ পানীয় লিভার ও পাচনতন্ত্রকে পরিষ্কার করে এবং শরীরকে বিষমুক্ত করতে সাহায্য করে।
৫. হালকা হাঁটাচলা
উপোস ভাঙার পর ১০-১৫ মিনিট হালকা হাঁটলে হজমে সহায়তা হয় এবং পেটে গ্যাস বা অস্বস্তি হয় না। খেয়েই শুয়ে পড়া একেবারেই উচিত নয়।
বর্জনীয়:
পুরি, পকোড়া, ভাজা খাবার, ঠান্ডা পানীয় বা আইসক্রিম উপোস ভাঙার পর খেলে হজমে সমস্যা, অ্যাসিডিটি, এমনকি গলা ব্যথাও হতে পারে।