Advertisement

Sweet Cravings: রাতের খাবারের পর মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস বিষের সমান! নিয়ন্ত্রণ করুন এই উপায়ে

Sweet Eating: চকোলেট হোক বা আইসক্রিম বা যে কোনও মিষ্টি, খাওয়াদাওয়ার পর  খাওয়ার মজা আলাদা। মাঝে মাঝে মিষ্টি খেলে ক্ষতি নেই। তবে এটা যদি অভ্যাসে পরিণত হয়, তাহলে সাবধান হওয়া দরকার।

Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 20 Dec 2024,
  • अपडेटेड 1:57 PM IST

বহু মানুষের খাবারের পর মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস আছে।  চকোলেট হোক বা আইসক্রিম বা যে কোনও মিষ্টি, খাওয়াদাওয়ার পর  খাওয়ার মজা আলাদা। মাঝে মাঝে মিষ্টি খেলে ক্ষতি নেই। তবে এটা যদি অভ্যাসে পরিণত হয়, তাহলে সাবধান হওয়া দরকার। বিশেষত ডিনারের পর মিষ্টি খেলে অনেক গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

আসলে, মিষ্টিতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে একথা সকলেরই জানা। অতিরিক্ত শর্করা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। না জেনেই আপনিও রোজ রাতে ইচ্ছে মতো মিষ্টি খান? তাহলে জেনে নিন কী কী ক্ষতি হতে পারে। 

দ্রুত ওজন বৃদ্ধি

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমরা যখন মিষ্টি খাই, তখন রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর তা কমে যায়। রাতে এই উত্থান-পতনের কারণে ঘুম অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এর প্রভাবে পরের দিন সকালে খুব ক্লান্ত বোধ হতে পারে। এছাড়া রাতে খাবারের পর মিষ্টি খেলে, শরীর নিজেকে মেরামত ও সুস্থ করার পরিবর্তে গ্লুকোজকে শক্তিতে রূপান্তর করতে ব্যস্ত থাকে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে, গভীর রাতে মিষ্টি খেলে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা হ্রাস করে, যা বিপাককে প্রভাবিত করে। এছাড়াও রাতে প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি খেলে ওজন দ্রুত বাড়ে।

ঘুমের উপর প্রভাব ফেলে

রাতে মিষ্টি খেলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। চিনি মেলাটোনিনকে নিয়ন্ত্রণ করে, যা ঘুম নিয়ন্ত্রণ করে এবং কর্টিসল (একটি স্ট্রেস-প্ররোচিত হরমোন) বাড়ায়। এর প্রভাবে হয় আমাদের ঘুম কম হয় বা দেরিতে আসে। এছাড়া মিষ্টি জিনিসে বেশি পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। রাতে মিষ্টি খেলে মস্তিষ্ক আরও সক্রিয় হয়, যা আমাদের ঘুমের চক্রকে প্রভাবিত করে।

রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পায়

Advertisement

ডায়াবেটিস রোগীরা যদি প্রতিদিন রাতের খাবারের পর মিষ্টি খান তাহলে তাদের স্বাস্থ্য সমস্যা বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতে অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বেড়ে যায়। যার কারণে অনেক ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন নিউরোপ্যাথি, রেটিনোপ্যাথি এবং কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা বাড়তে পারে। এছাড়া প্রতিদিন রাতে মিষ্টি খেলে টাইপ-টু ডায়াবেটিস ও স্থূলতার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এর পাশাপাশি হৃদরোগেরও সম্ভাবনা থাকে।

রাতে মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন? 

রাতে মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে ত্যাগ করতে, অভ্যাস ও খাবারে পরিবর্তন আনতে হবে। ম্যাগনেসিয়াম বা ক্রোমিয়ামের মতো পুষ্টির প্রয়োজন মেটাতে সবুজ শাক, ড্রাই ফ্রুটস এবং গোটা শস্য খেতে পারেন। ডিনারে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ খাবার খান। এতে আপনার পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকবে। এছাড়া মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছে হলে, কোনও মিষ্টি ফল, এক টুকরো ডার্ক চকলেট বা মধুর সঙ্গে দই খেতে পারেন। আপনি চাইলে দারুচিনি বা ক্যামোমাইলের মতো ভেষজ চা পান করতে পারেন। এছাড়াও মনে রাখবেন শরীরে যেন জলের ঘাটতি না হয়, মাঝে মাঝে পিপাসা পেলেও মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছে করে।

এছাড়া রাতে খাবারের পর অন্য কোনও কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। যেমন বই পড়া বা হাঁটতে যাওয়া ইত্যাদিতে আপনার মনোযোগ থাকলে, মিষ্টির দিকে মন যাবে না। আপনি যদি মিষ্টি খুব পছন্দ করেন, তাহলে সকালের দিকে খেতে পারেন। কারণ সেই সময় আমাদের মেটাবলিজম খুব সক্রিয় থাকে।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement