গাজর আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। গাজর দৃষ্টিশক্তি ও সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য উপকারী। গাজর সম্পর্কে সবচেয়ে ভাল জিনিস হল যে আপনি এটি বিভিন্ন উপায়ে খেতে পারেন। যেমন- গাজরের হালুয়া, গাজরের রস, সালাদ, আচার, সবজি ইত্যাদি। গাজরে চর্বির পরিমাণ নগণ্য। এটি অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে ভিটামিন A, C, K, B8, ফাইবার, বিটা ক্যারোটিন, পটাসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড রয়েছে। আসুন জেনে নেই এটি খাওয়ার উপকারিতা।
চোখের জন্য উপকারী
গাজর চোখের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং আলফা-ক্যারোটিন ও বিটা-ক্যারোটিন নামের দুটি ক্যারোটিনয়েড। কিন্তু গাজরে শুধু একটি পুষ্টি উপাদান নয়, অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা চোখের জন্য খুবই উপকারী। গাজরে পাওয়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লুটেইন এবং জেক্সানথিন চোখের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি চোখের রেটিনা ও লেন্সের জন্য ভাল। প্রতিদিন একটি করে গাজর খান, এটি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।
গাজরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা রক্তে সুগার এবং ইনসুলিনের জন্য খুবই ভাল। কাঁচা বা সামান্য রান্না করা গাজরে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকে, যা সুগারের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীরা আরামে গাজর খেতে পারেন।
ওজন নিয়ন্ত্রণে উপকারী
গাজরের সবচেয়ে বিশেষ বিষয় হল এতে ৮৮ শতাংশ পর্যন্ত জল থাকে। এতে রয়েছে ফাইবার এবং রুফেজ। যার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়াও, আপনি যদি প্রতিদিন একটি গাজর খান তবে আপনি প্রায় ৮০ শতাংশ ক্যালোরি পাবেন। যার কারণে আপনি দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ বোধ করেন। এই সবজি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
BP ব্যালেন্স করে
আপনার রক্তচাপ বেশি হলে প্রতিদিন ১টি করে গাজর খাওয়া উচিত। গাজরে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। যা BP ব্যালেন্স করতে কাজ করে। এটি শরীরে সোডিয়াম স্তরের ভারসাম্যও বজায় রাখে। যার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। হার্ট সুস্থ রাখতে গাজর খুবই ভাল।