শক্তপোক্ত হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য ক্যালসিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ। মানবদেহের বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়াকলাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিনের খাবারে তাই ক্যালসিয়ামের সঠিক জোগান বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতীয়দের খাদ্যতালিকায় ক্যালসিয়ামের অন্যতম প্রধান উৎস হল দুগ্ধজাত দ্রব্য। দুধ, দই এবং পনিরে যে শুধু ক্যালসিয়ামই থাকে তা-ই নয়। এর পাশাপাশি প্রোটিন এবং ভিটামিন ডি-র মত প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণও পাবেন।
পাতাযুক্ত সবুজ শাকসবজিও ক্যালসিয়ামের চমৎকার উৎস। পালং, কলমি, সীম, বাঁধাকপির মতো শাকসবজিতে ক্যালসিয়াম পাবেন। শুধু তাই নয়। এতে প্রচুর ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও পাবেন। রোজ তাই পাতে একটি শাক বা তরকারি রাখুন। মোট কথা সপ্তাহে ৩-৪ দিন অবশ্যই সবুজ শাক খান। এটুকু করলেই শরীরের ক্যালসিয়ামের চাহিদা অনেকটাই মিটবে।
তিল বীজেও প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। তিলচাকতি, তিলের নাড়ু এবং বিভিন্ন খাবারের উপর তিলের বীজ ছড়িয়ে খেতে পারেন। তাছাড়া গরম ভাতে তিল বাটা বা তিলের বড়াও বেশ সুস্বাদু।
সকালে ভেজানো বাদাম খেতে পারেন। তাতেও ক্যালসিয়াম পাবেন।
মাছ, বিশেষত ছোট মাছ যেমন ট্যাংরা, পুঁটি, চুনো, কাচকি ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং অন্য খনিজ উপাদান থাকে। তাছাড়া এগুলি ভাল করে রান্না করলে খেতেও বেশ সুস্বাদু।
হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে তাই পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া এর পাশাপাশি ভিটামিন ডি সংশ্লেষণও জরুরি। রোজ তাই অন্তত ১০ মিনিট সকালের সূর্যের আলোয় সময় কাটান। এই একটি অভ্যাস এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুগ্ধজাত দ্রব্য, শাক, তিল এবং মাছ পাতে রাখুন। নিয়মিত এই অভ্যাস বজায় রাখলে হাড় হবে শক্ত এবং সামগ্রিকভাবে শরীর-স্বাস্থ্যও সুস্থ থাকবে।