ইউরিক অ্যাসিড হল একটি প্রাকৃতিক বর্জ্য পণ্য যা, শরীর থেকে পিউরিনে সমৃদ্ধ খাবার হজমের পর নিঃসৃত হয়। পিউরিন হল রাসায়নিক যৌগ যা কার্বন এবং নাইট্রোজেন পরমাণু দ্বারা গঠিত এবং শরীরে ভেঙে যায়। যখন আমরা পিউরিন-সমৃদ্ধ খাবারের অতিরিক্ত গ্রহণে নিযুক্ত হই, তখন শরীর এটি হজম করতে ব্যর্থ হয়। যার ফলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
উচ্চ মাত্রার ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের অবশ্যই খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। পিউরিন- সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলার পাশাপাশি, অবশ্যই অত্যধিক চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এটি আপনার শরীরের ইউরিক অ্যাসিড নিঃসরণ করার ক্ষমতা হ্রাস করতে পারে।
এছাড়াও, অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলাই ভাল। এর পরিবর্তে আপনার জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। এটি আপনার প্রস্রাবকে পাতলা করতে পারে এবং শরীরের অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড ত্যাগ করা সহজ করে তুলতে পারে।
ইউরিক অ্যাসিডে কোন খাবার ক্ষতিকারক?
* যদি শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি থাকে, তবে মাংস খাওয়া কমানো গুরুত্বপূর্ণ।
* রেড মিট, অর্গান মিট, কিমা মাংস এবং সামুদ্রিক খাবার যেমন ম্যাকেরেল, সার্ডিন ইত্যাদি খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
* যদিও ডাল প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং শরীরে প্রচুর শক্তি উৎপাদন করে। তবে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও বৃদ্ধি কাজ। তাই এটি এড়ানো উচিত।
* যাদের হাইপারইউরিসেমিয়ার সমস্যা রয়েছে, চিনিযুক্ত পানীয়র দিকে ভুলেও তাকাবেন না।
ইউরিক অ্যাসিডে কোন খাবার উপকারি?
* লেবু সাইট্রিক অ্যাসিডের একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা শরীরের অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড দ্রবীভূত করতে সাহায্য করে।
* শরীরে ইউরিক অ্যাসিড নিরাময়ে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার হতে পারে দারুণ একটি খাবার। এতে রয়েছে ম্যালিক অ্যাসিড যা শুধু ইউরিক অ্যাসিড ভেঙে দেয় না, শরীর থেকে বের করে দেয়।
* অ্যান্থোসায়ানিন নামক যৌগ সমৃদ্ধ, বেরি শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের উচ্চ মাত্রার কারণে জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
* উচ্চ আঁশযুক্ত খাবারের পরামর্শ দেওয়া হয়। যার মধ্যে গোটা শস্যের খাবার শুধু পুষ্টিকর নয়, ফাইবার সমৃদ্ধও বটে। ফাইবার রয়েছে এমন উপাদানগুলি রক্ত প্রবাহে সমস্ত অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড শোষণ করে এবং এটি দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করে।