
ওজন কমানোর কথা উঠলেই অনেকের মাথায় প্রথমে জিম, কঠোর ব্যায়াম বা ভারী ডায়েটের কথা আসে। কিন্তু বাস্তবে, নিয়মিত ও সঠিকভাবে হাঁটাও ওজন কমানোর জন্য অত্যন্ত কার্যকর একটি উপায়। হাঁটা এমন একটি ব্যায়াম, যা শরীরের উপর বাড়তি চাপ না দিয়েই ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে। হজমশক্তি বাড়ানো, বিপাকক্রিয়া সক্রিয় রাখা এবং শরীরকে ফিট রাখার ক্ষেত্রে হাঁটার ভূমিকা অনস্বীকার্য। সব বয়সের মানুষই সহজে এই অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
কিছু ছোট পরিবর্তন আনলেই, জিমে না গিয়েও হাঁটার মাধ্যমে ওজন কমানো সম্ভব।
হাঁটা কীভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে?
ওজন কমে তখনই, যখন শরীর গ্রহণ করা ক্যালোরির তুলনায় বেশি ক্যালোরি খরচ করে। নিয়মিত হাঁটা দৈনন্দিন শারীরিক সক্রিয়তা বাড়ায়, ফলে শরীর জমে থাকা চর্বিকে শক্তি হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস বিপাকক্রিয়া উন্নত করে এবং ধীরে হলেও টেকসইভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
হাঁটার মাধ্যমে দ্রুত ওজন কমাতে এই ৫টি কাজ করুন
১. খাবারের পর ১০-২০ মিনিট হাঁটুন
খাওয়ার পর হালকা হাঁটাচলা করলে হজম ভালো হয়, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং অতিরিক্ত ক্যালোরি পোড়ে। দিনে তিনবার ১০ মিনিট হাঁটা অনেক সময় একটানা ৩০ মিনিট হাঁটার চেয়েও বেশি উপকারি।
২. ধীরে নয়, দ্রুত হাঁটার অভ্যাস করুন
হাঁটার সময় গতি বাড়ান। দ্রুত হাঁটলে হৃদস্পন্দন বাড়ে, ফলে ক্যালোরি পোড়ে বেশি। একে ‘পাওয়ার ওয়াকিং’ বলা হয়, যা ওজন কমাতে বিশেষভাবে কার্যকর।
৩. সিঁড়ি বা ঢালু পথে হাঁটুন
সিঁড়ি ভাঙা বা ঢালু পথে হাঁটলে উরু, পা ও পেটের পেশিতে বেশি চাপ পড়ে। এতে অল্প সময়েই বেশি ক্যালোরি খরচ হয়।
৪. ইন্টারভাল ওয়াকিং করুন
এক মিনিট দ্রুত হাঁটা, তারপর এক মিনিট ধীরে হাঁটা—এই পদ্ধতি কয়েকবার করুন। এই ধরনের ব্যবধানযুক্ত হাঁটা চর্বি পোড়ানোর হার অনেক বাড়িয়ে দেয়।
৫. হালকা ওজন নিয়ে হাঁটুন
হাঁটার সময় হালকা ব্যাকপ্যাক বা ওজন ব্যবহার করলে শরীরকে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। এতে কম সময়েই বেশি ক্যালোরি পোড়ানো সম্ভব হয়।