সুস্থ শরীরের জন্য ওজন সঠিক রাখা প্রয়োজন। স্থূলতার কারণে ডায়াবেটিস, হার্ট ও লিভার সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। নারীদের তুলনায় পুরুষরা স্থূলতাজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হোন। পুরুষদের জন্য কিছু পুষ্টিকর উপাদান অপরিহার্য এবং ওজন কমানো তাদের পক্ষে সহজ নয়। অল্প সময়ে ওজন কমানো শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই ক্ষতিকর নয়, সেক্ষেত্রে স্থূলতা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। বিশেষজ্ঞরা ওজন কমানোর জন্য কিছু বিশেষ পদ্ধতির ওপর বেশি জোর দেন।
প্রোটিন- ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিনটি খাবারেই আমাদের প্রোটিনের পরিমাণ বাড়াতে হবে। খাবারে বেশি প্রোটিন খেলে পেশী শক্তিশালী হয় এবং ওজন কমে। ভাল জিনিস থেকে প্রাপ্ত প্রোটিন শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। মুরগির মাংস, ডিম, বাদাম, বীজ, লেবু, ডাল, সয়া এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যগুলি প্রোটিনের সেরা উৎস।
শারীরিকভাবে সক্রিয়- ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করা খুবই জরুরি। প্রতিদিন এক ঘণ্টা ব্যায়াম করলে আপনি শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকেন, যা শরীরের চর্বি ও ওজন উভয়ই কমায়। প্রতি ৩০ মিনিটে প্রায় ৩ মিনিটের জন্য ওজন উভয় পায়ে রাখা উচিত।
বেশি ক্যালোরি কমিয়ে দিন - সারাদিন যে পরিমাণ ক্যালোরি খাচ্ছেন তার চেয়ে বেশি ক্যালোরি কমানোর দিকে মনোযোগ দিন। ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান, যা দীর্ঘ সময় ধরে আপনার ক্ষিদে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যতটা সম্ভব ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য, বাদাম, বীজ, ডাল খান।
হাঁটাচলা বাড়ান- আপনি যদি সারাদিন চেয়ারে বসে কাজ করতে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন, তাহলে অবিলম্বে এই অভ্যাস পরিবর্তন করুন। যতটা সম্ভব হাঁটার অভ্যাস করুন। ফোনে কথা বলার সময়ও এক জায়গায় বসে বা দাঁড়িয়ে না থেকে হাঁটাহাঁটি করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম - রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য অ্যালকোহল খাওয়া বন্ধ করুন। রাতে ঘুমানোর আগে এক কাপ দুধে সামান্য গুড় ও জায়ফল মিশিয়ে খেলে ভাল ঘুম হয়। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও কার্যকর।
প্রচুর জল পান করুন - জল শরীরের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। এটি শুধু আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে না, ওজনও দ্রুত কমায়। বয়স, লিঙ্গ এবং শারীরিক কার্যকলাপ অনুযায়ী জলের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করা উচিত।