প্রায় সকলে ফিট এবং স্লিম দেখতে চায় নিজেকে। তবে বাড়তি ওজন কমানো সহজ নয়। বিশেষ করে আপনার ওজন যদি ক্রমাগত বাড়তে থাকে, তাহলে তা কমানো খুব কঠিন হয়ে পড়ে। অনেক সময় জিমে গিয়ে কিংবা ডায়েটিং করেও খুব একটা লাভ হয় না। অন্যদিকে অনেক সময় কিছু ছোট অভ্যাস যেমন খাবারের পর হাঁটা, প্রচুর জল পান করা এবং হালকা ব্যায়াম করলে দ্রুত ওজন কমে। ওজন কমানো এবং ফিট থাকা নির্ভর করে আপনার জীবনধারা এবং এতে কিছু পরিবর্তন করার উপর। কিছু পদ্ধতি রয়েছে যা মেনে চললে, মাত্র ১০ দিনে ২-৩ কেজি ওজন কমানো সম্ভব।
জল খাওয়া
সারাদিন নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন। শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে জল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সকালে প্রথমে জল পান করলে মেটাবলিজম ঠিক থাকে। এটি ঘন ঘন কিছু খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা বন্ধ করতেও সাহায্য করে।
খাবার পরে হাঁটা
খাওয়ার পরে অল্প হাঁটা শুধু হজমশক্তিই উন্নত করে না, উল্টে ক্যালোরি বার্ন করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, খাবারের পরে হাঁটাও আপনার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
বেশি ফাইবার এবং কম চিনি
শাকসবজি, স্যালাড এবং স্যুপ খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান। একবারের খাবারে শুধুমাত্র শাকসবজি বা অঙ্কুরিত শস্য অন্তর্ভুক্ত করুন। সন্ধ্যা ৭টার পর শস্য (গম ও চাল) খাওয়া কমিয়ে দিন। ব্রেকফাস্টে ড্রাই ফ্রুটস, ফল, ছোলা, বীজ খান। যতটা সম্ভব রাতে অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন।
বাড়ির খাবার খান
বাড়িতে রান্না করা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বাইরের খাবারে উচ্চ পরিমাণে চর্বি এবং তেল থাকে এবং তা ওজন বৃদ্ধি করে। বাড়িতে রান্না করলে তেল এবং মশলার মতো উপাদানগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ দকরে। তাই ঘরোয়া খাবার স্বাস্থ্যকর যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
চিনি এবং নুন কম খান
কুকিজ, কেক, চিপসের মতো চিনি এবং লবণ সমৃদ্ধ জিনিসের ব্যবহার কমিয়ে দিন। চিনি দ্রুত ওজন বাড়ায়। অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে পেট ফুলে যেতে পারে এবং আপনি ফোলা অনুভব করতে পারেন।
ব্যায়াম
প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিটের শারীরিক কার্যকলাপে নিযুক্ত থাকতে ভুলবেন না। জিমের প্রয়োজন নেই। তবে যোগব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি এবং হালকা ব্যায়াম করে আপনি ফিট থাকতে পারেন। একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যের সঙ্গে হালকা ব্যায়াম শরীরের ক্ষতি না করে ওজন কমানোর সর্বোত্তম উপায়। আপনার সময়সূচীর সঙ্গে মানানসই ব্যায়াম এবং রুটিন বেছে নিন।