গ্রীষ্মকাল ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ঋতু। উচ্চ তাপমাত্রার কারণে শরীর স্বাভাবিকভাবেই বেশি ঘাম ঝরায়, যা মেটাবলিজম বাড়িয়ে চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে। এসময় সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে সহজেই অতিরিক্ত ওজন কমানো সম্ভব। নিচে ১০টি কার্যকর কৌশল দেওয়া হলো, যা গ্রীষ্মকালে ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
১. তরমুজ বেশি খান
গ্রীষ্মকালে তরমুজ সহজলভ্য এবং ওজন কমানোর জন্য দারুণ কার্যকর। এতে প্রচুর পরিমাণে জল থাকায় শরীর হাইড্রেটেড থাকে এবং কম ক্যালোরি গ্রহণ করেও দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে।
২. স্যালাড খান প্রতিদিন
শসা, টমেটো, ব্রকলি, ঘেরকিনের মতো কম ক্যালোরিযুক্ত সবজি দিয়ে তৈরি স্যালাড ফাইবারসমৃদ্ধ হওয়ায় দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হজমশক্তি ভালো করে।
৩. আইস টি পান করুন
লেবু, পুদিনা ও বেরির সঙ্গে মিশ্রিত আইস টি শরীরকে ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি বিষাক্ত টক্সিন দূর করে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৪. নারকেল জল পান করুন
নারকেল জল প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ, যা শরীরকে সতেজ রাখে, হজম ভালো করে এবং বিপাক ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে, ফলে দ্রুত ওজন কমে।
৫. পর্যাপ্ত জল পান করুন
গরমের দিনে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রচুর জল বেরিয়ে যায়। তাই প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস জল পান করা ওজন কমানোর পাশাপাশি শরীর হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।
৬. চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন
সফট ড্রিঙ্ক, প্যাকেটের জুস বা অতিরিক্ত মিষ্টি যুক্ত পানীয় গ্রহণ করলে ক্যালোরি বেড়ে যায়। এগুলোর পরিবর্তে লেবু জল বা ডিটক্স ওয়াটার পান করুন।
৭. হালকা ও সুষম খাবার খান
গ্রীষ্মে অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত খাবার হজম করা কঠিন। তাই হালকা, কম তেল ও মশলাযুক্ত খাবার খান, যা শরীর ঠান্ডা রাখতে এবং ওজন কমাতে সহায়ক।
৮. প্রতিদিন ব্যায়াম করুন
সকালে বা সন্ধ্যায় ৩০-৪৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি, ইয়োগা বা ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম করলে অতিরিক্ত চর্বি ঝরে গিয়ে দ্রুত ওজন কমতে পারে।
৯. ভালো ঘুম নিশ্চিত করুন
অপর্যাপ্ত ঘুম মেটাবলিজম কমিয়ে ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। তাই রাতে কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
১০. প্রসেসড ফুড ও ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন
ফাস্টফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাবারে অতিরিক্ত ক্যালোরি ও চিনি থাকে, যা ওজন বাড়ায়। এসব খাবারের পরিবর্তে তাজা ফল, সবজি ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।