
Acharya Balkrishna Tips: শীত এলেই শরীরের উপর নানা প্রভাব পড়ে। ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও যে বাড়ে, তা বহু গবেষণাতেই উঠে এসেছে। এই সময় শরীরের বিশেষ যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়ে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে আমাদের দৈনন্দিন কিছু ছোট অভ্যাসই হার্ট, কিডনি ও হজমতন্ত্রের উপর বড় প্রভাব ফেলে। তার মধ্যে অন্যতম হল, জল পান করার সঠিক পদ্ধতি। ঠান্ডার দিনে অনেকেই জল কম খান অথবা খুব ঠান্ডা জল পান করেন, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
এই বিষয়ে আচার্য বালকৃষ্ণ তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানিয়েছেন, শীতকালে কুসুম গরম জল পান করাই সবচেয়ে উপকারী। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও হালকা গরম জলকে ওষধিগুণে ভরপুর বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আধুনিক চিকিৎসকরাও একমত। গরম জল শরীরে দ্রুত শোষিত হয়।
শীতের সময় শরীরের কার্যক্ষমতা ধীরগতির হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় ঠান্ডা জল পান করলে হজমপ্রক্রিয়া আরও দুর্বল হতে পারে। অন্যদিকে, কুসুম গরম জল পাকস্থলীতে পৌঁছেই হজমশক্তিকে সক্রিয় করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গরম জল গ্যাস, অ্যাসিডিটি ও পেট ফাঁপার মতো সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে, যা সামগ্রিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত জরুরি।
গরম জল রক্তনালিকে শিথিল করে, ফলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। এর ফলে হার্টের উপর চাপ কম পড়ে এবং হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যেরও পরোক্ষ উন্নতি হয়।
কিডনির ক্ষেত্রেও গরম জল অত্যন্ত উপকারী। শীতে জল কম খাওয়ার কারণে কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। কুসুম গরম জল সহজে পান করা যায় এবং এটি শরীরের জলের ঘাটতি পূরণ করে কিডনিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়া, সকালে গরম জল পান করলে শরীর থেকে টক্সিন বের হতে সুবিধা হয়। এতে ত্বক, হজম ও মেটাবলিজম ভালো থাকে। শীতকালে সর্দি-কাশি বা গলা ব্যথার সমস্যাতেও গরম জল একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে কাজ করে।