ব্যস্তবহুল জীবন, প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড়, স্ট্রেস, মানসিক চাপ, খাবারে ভেজাল, এসব নানা কারণে বর্তমান সময় মানুষের রোগ অনেক বেড়েছে। সুস্থ থাকতে সঠিক জীবনযাত্রা বজায় রাখা খুবই জরুরি। যদি আপনি ৫০ বছর বয়সের আগে শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকেন, অর্থাৎ সঠিক শারীরিক কার্যকলাপ এবং ব্যায়াম করেন, তাহলে খুবই ভাল ব্যাপার। কিন্তু যদি আপনার বয়স ৫০-র বেশি হয় এবং রোজ ব্যায়াম না করেন, তাহলে অবশ্যই সতর্ক হওয়া উচিত।
মহিলাদের ক্ষেত্রে, প্রতিদিন কিছু শারীরিক কার্যকলাপ করলে মেনোপজের কিছু লক্ষণের কম দেখা যায়। যেমন গরম লাগা, জয়েন্টে ব্যথা এবং ঘুমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে। ব্যায়াম হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমে। এটি মহিলাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে এবং পেটের চর্বি কমাতেও সাহায্য করে। ব্যায়ামের গুণ এত বেশি যে, এটি আপনার শরীরের প্রতিটি কার্যকারিতা এবং প্রক্রিয়াকে আরও ভাল ভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
বয়সের সঙ্গে রোগ বাড়ে
বয়সের বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক রোগের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়, যা অনেক সময়ই বসে থাকা জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত। আপনার বয়স ৫৫ বছর হতে পারে, কিন্তু ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনি আপনার জৈবিক বয়স ৩৫ বছর কমাতে পারেন। তবে, ব্যায়াম শুরু করার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। বিশেষ করে যদি পারিবারিকভাবে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস বা কোনও দীর্ঘস্থায়ী রোগের ইতিহাস থাকে।
এই ব্যায়ামগুলি সহায়ক হতে পারে
* হাঁটা, দ্রুত হাঁটা, জগিং, সাঁতার কাটা এবং নাচের মতো অ্যারোবিক ব্যায়ামগুলিও ভাল বিকল্প। অ্যারোবিক ব্যায়াম আপনার শরীরের বৃহৎ পেশীগুলির উপর কাজ করে, যা আপনার হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে এবং আপনার ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে। যোগব্যায়াম মহিলাদের সুস্থ থাকতেও অনেক সাহায্য করে।
* শক্তি প্রশিক্ষণ আপনার শরীরের ভঙ্গি উন্নত করে, হাড়ের শক্তি বজায় রাখে এবং শরীরকে টোন করতেও সাহায্য করে।
* স্ট্রেচিং জয়েন্টগুলিতে নমনীয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি আঘাত এবং পেশী ব্যথার ঝুঁকিও কমায়। যোগব্যায়াম এবং পাইলেটস স্ট্রেচিংয়ের জনপ্রিয় ধরণ। যদিও সপ্তাহে ৩ বা ৪ দিন ২০ বা তার বেশি মিনিট ব্যায়াম করা উচিত, তবুও আপনি একবার আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন।