
৫০ বছর বয়সের পর মহিলাদের শরীরে অনেক পরিবর্তন আসতে শুরু করে। মেটাবলিজম ধীর হয়ে যায়। হাড় ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে, পেশী শক্তি কমে যায় এবং সহজে ক্লান্তি আসে। কখনও কখনও, খুব বেশি পরিশ্রম না করলেও শরীর ভারী ও অলস মনে হয়। শুধু কম খাওয়া বা ডায়েট করা স্বাস্থ্যের উন্নতির সঠিক উপায় নয়। মূল বিষয় হল স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। কারণ এই বয়সে শরীরের আরও বেশি যত্ন এবং সঠিক পুষ্টির প্রয়োজন হয়।
দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে কিছু শক্তিদায়ক খাবার যোগ করে আপনি ৫০ বছর বয়সের পরেও শরীরকে শক্তিশালী, সক্রিয় এবং সুস্থ রাখতে পারেন। সঠিক খাবার শুধু হাড় ও পেশীকেই সমর্থন করে না, সামগ্রিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটায়। কয়েকটি পরিবর্তন এবং সঠিক খাবার পছন্দের মাধ্যমে মহিলারা এই বয়সেও ফিট, সক্রিয় এবং আত্মবিশ্বাসী বোধ করতে পারেন। জেনে নিন কোন কোন খাবার ৫০ বছর বয়সের পর মহিলাদের অবশ্যই খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
স্যামন মাছ
স্যামন মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং প্রোটিন প্রচুর পরিমাণে থাকে। এটি হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য, জয়েন্টের ব্যথা কমাতে এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়।
মুসুর ডাল ও মটরশুঁটি
মুসুর ডাল ও মটরশুঁটিতে ফাইবার এবং উদ্ভিজ্জ প্রোটিন প্রচুর পরিমাণে থাকে। এগুলো হজমে সাহায্য করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে।
বেরি ফল
ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি এবং রাস্পবেরির মতো বেরি ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে, স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে এবং শরীরকে ভেতর থেকে তরুণ রাখতে সাহায্য করে।
সবুজ শাকসবজি
পালং শাক, মেথি এবং সর্ষের মতো সবুজ শাকসবজিতে আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ফাইবার প্রচুর পরিমাণে থাকে। এগুলো হাড় শক্তিশালী করতে, রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করতে এবং হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
বাদাম ও বীজ
কাঠবাদাম, আখরোট, তিসি এবং চিয়া সিডে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন এবং ফাইবার থাকে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে এগুলো খেলে হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভাল থাকে এবং সারাদিন শরীরে শক্তি বজায় থাকে।
ডিম
ডিম উচ্চ মানের প্রোটিন এবং ভিটামিন ডি-এর একটি ভাল উৎস। এগুলো পেশী শক্তিশালী করতে, ক্লান্তি কমাতে এবং শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।
অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডোতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে যা হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে এবং শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ভালোভাবে শোষণ করতে সাহায্য করে।
গোটা শস্য
ওটস, ব্রাউন রাইস, জোয়ার, বাজরা এবং গমের মতো গোটা শস্য ধীরে ধীরে শক্তি সরবরাহ করে। এগুলো হজমশক্তি উন্নত করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
হলুদ
হলুদে থাকা কারকিউমিন প্রদাহ ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। আপনার দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে সামান্য হলুদ যোগ করলে তা গাঁটের ব্যথা এবং শরীরের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে।