Advertisement

High Blood Pressure: নিঃশব্দে হাই ব্লাড প্রেসার বহু ভারতীয়ের, জানেনই না, চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট WHO-র

Hypertension, World Heart Day: হাইপারটেনশন, যা সাধারণত উচ্চ রক্তচাপ নামে পরিচিত, ভারতে এবং বিশ্বব্যাপী আকস্মিক মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। তবুও, এই নীরব ঘাতক রোগে আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষ হয় জানেন না যে তারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন বা তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এটিকে উপেক্ষা করেন।

হাই প্রেসারে ভোগা বেশিরভাগ ভারতীয়ই জানেন না তাঁদের সমস্যার কথা!
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 28 Sep 2023,
  • अपडेटेड 11:58 AM IST
  • হাইপারটেনশন, যা সাধারণত উচ্চ রক্তচাপ নামে পরিচিত, ভারতে এবং বিশ্বব্যাপী আকস্মিক মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ।
  • তবুও, এই নীরব ঘাতক রোগে আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষ হয় জানেন না যে তারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন বা তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এটিকে উপেক্ষা করেন।

Hypertension, World Heart Day: হাইপারটেনশন (Hypertension), যা সাধারণত উচ্চ রক্তচাপ নামে পরিচিত, ভারতে এবং বিশ্বব্যাপী আকস্মিক মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। তবুও, এই নীরব ঘাতক রোগে আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষ হয় জানেন না যে তারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন বা তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এটিকে উপেক্ষা করেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ভারতের ১৯ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক, যাঁদের বয়স ৩০-৭৯ বছরের মধ্যে, উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ৭ কোটি রোগীই এর চিকিৎসা শুরু করেন। বাকি ১২ কোটি উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত মানুষ এই সমস্যা প্রতিরোধের কোনও পদক্ষেপই নেননি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) উচ্চ রক্তচাপকে এমন একটি সমস্যা হিসাবে ব্যাখ্যা করেছে যখন সিস্টোলিক রক্তচাপ ১৪০ mmHg (মিলিমিটার্স অফ মার্কারি, রক্তচাপ মাপার একক) বা তার বেশি হয়, ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ৯০ mmHg বা তার বেশি হয়, তখন উচ্চ রক্তচাপ নিরাময়ের জন্য ওষুধ খাওয়া উচিত। ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বিশ্বব্যাপী উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৬৫ কোটি থেকে বেড়ে প্রায় ১৩০ কোটি হয়েছে।

WHO তার সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলেছে, “এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সমস্যা যা স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিওর, কিডনির ক্ষতি এবং অন্যান্য অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।” ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, তামাক সেবন, ধূমপানের অভ্যাস এবং ডায়াবেটিসের চেয়েও হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি।

অতিরিক্ত নুন খাওয়া বিষের সমান
WHO-এর অন্য একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, খাদ্যতালিকায় নুন, তামাকের ব্যবহার, স্থূলতা, অ্যালকোহল সেবন এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এর মধ্যে নুন খাওয়া হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বা ঝুঁকি সবচেয়ে বাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে, বিশ্বে খাবারের সঙ্গে দৈনিক ৯-১২ গ্রামের কম পরিমাণ নুন খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা যাতে উচ্চ রক্তচাপ এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের প্রকোপ কমিয়ে হার্টের সমস্যাজনিত কারণে ২৫ লাখ পর্যন্ত মৃত্যু এড়ানো যায়।

Advertisement

উচ্চ রক্তচাপ পরোক্ষভাবে ভারতের ২৯ শতাংশ মৃত্যুর জন্য দায়ী
একাধিক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে যে, উচ্চ রক্তচাপ কার্ডিওভাসকুলার রোগের প্রকোপ বৃদ্ধির অন্যতম বড় কারণ, যা একত্রে ২০১৯ সালে ভারতের ২৯ শতাংশ মৃত্যুর জন্য দায়ী। এছাড়া, এ দেশের প্রায় ১২ লক্ষ মৃত্যু বা ১৩ শতাংশ মানুষের মৃত্যুর কারণ শ্বাসযন্ত্রের রোগ বা দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement