প্রতি বছর ১ জুলাই পালিত হয় জাতীয় চিকিৎসক দিবস। চিকিৎসাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সকল ব্যক্তিদের ভূমিকাকে সম্মান জানাতে জন্য এই দিনটি পালন করা হয়। এদিন তাঁদের কাজ এবং দায়িত্বগুলি স্বীকৃতি দেওয়ার বিশেষ দিন। নিজের দৈনন্দিন জীবনের কিছু পরিবর্তন করে, আপনি থাকতে পারেন, সুস্থ। এক নজরে দেখে নিন চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে, সুস্থ থাকার চাবিকাঠি।
তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা
যারা সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠেন, তাঁদের সারাদিন ভাল কাটে। এতে হজম ক্ষমতা ভাল থাকার পাশাপাশি, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। সেই সঙ্গে সমস্ত কাজ শেষ করে, নিজের জন্য কিছু সময় পাওয়া যায় সকালে তাড়াতাড়ি উঠলে।
সকালে উষ্ণ গরম জল খাওয়া
সকালে খালি পেটে উষ্ণ গরম জল খেলে বিপাক প্রক্রিয়া সহজ হয়। সেই সঙ্গে গলা ও কিডনি সম্পর্কিত সমস্যাগুলিও দূর হয়। উষ্ণ গরম জলে লেবু মিশিয়ে পান করলে পেট পরিষ্কার হয় এবং এটি মেদ কমতে সহায়তা করে।
ব্যায়াম
সকালে ঘুম থেকে উঠে উষ্ণ গরম জল খেয়ে চেষ্টা করুন, ব্যায়াম অথবা যোগাসন করুন। এর ফলে সারাদিন আপনার শরীর সচল থাকবে। এমনকি দিনও খুব পজিটিভ কাটবে। ব্যায়াম ওজন কমানোর পাশাপাশি, বিভিন্ন রোগ থেকে আপনাকে দূরে রাখবে।
অঙ্কুরিত শস্য খান
প্রাতঃরাশে অঙ্কুরিত শস্য অন্তর্ভুক্ত করুন। এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। অঙ্কুরিত শস্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই সমৃদ্ধ। সেই সঙ্গে এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এর জুরি মেলা ভার।
বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন
জাঙ্ক ফুড অর্থাৎ বাইরের খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। বাইরের খাবারে অনেক ক্যালোরি ও তেল থাকে। যার জন্যেই বহু রোগের সম্ভাবনা থাকে। বিভিন্ন রকম সংক্রমণও হতে পারে এর থেকে। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি, পেটে ব্যথা হতে পারে এর ফলে। তাই বাড়িতে বানানো টাটকা খাবার খাওয়া ভাল সব সময়।
প্রচুর জল পান করুন
সুস্থ থাকতে চাইলে, অবশ্যই সারাদিন প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। রক্ত সঞ্চালন ভাল হওয়ার পাশাপাশি এটি পেশীর টান রোধে সহায়তা করে। প্রচুর পরিমাণে জল খেলে, শরীরে অক্সিজেন ও পুষ্টি আরও ভাল ভাবে শরীরে পৌঁছতে পারে।
অত্যাধিক নুন খাওয়া বর্জন করুন
অত্যাধিক মিষ্টি খাওয়া যেমন শরীরের জন্য ভাল না, সেরকম অত্যাধিক নুন খাওয়াও শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। অতিরিক্ত নুন রক্তচাপ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
অ্যালকোহল ও তামাকজাত দ্রব্যে না
নিজেকে তামাকজাত দ্রব্য ও অ্যালকোহল থেকে দূরে রাখুন। এগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমানোর পাশাপাশি আরও অসুস্থতা বৃদ্ধি করে। তামাক ফুসফুসের ক্ষতি করে। তাই সুস্থ থাকতে জীবন থেকে এগুলো এড়িয়ে চলুন।
আনন্দে থাকুন
সুস্থ থাকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল খুশী থাকা। অহেতুক চাপ নেবেন না। নিজেকে সব সময় পজিটিভ ও আনন্দে রাখার চেষ্টা করুন। তাহলে সুস্থ থাকেবন।
পর্যাপ্ত ঘুম
সুস্থ থাকতে নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডিপ্রেশনের মতো সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন আপনি। শরীরের পাশে মানসিক স্বাস্থ্যও ভাল থাকে, যার ফলে সারাদিন কাজে এনার্জি বজায় থাকে।