বিয়ে মানে নতুন জীবনের শুরু। প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর পর অনেকেই আবেগে ভেসে যান। কিন্তু ভবিষ্যতে সেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে গেলে কিছু কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। তাই বুদ্ধিমানের মতো, সেই প্রশ্নগুলির উত্তর আগেভাগে জেনে নেওয়াই ভালো। এমনটাই মত মনোবিদদের।
আমেরিকার জনপ্রিয় ম্যারেজ প্ল্যাটফর্ম Brides.com-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ম্যারেজ এক্সপার্ট হ্যাটি জে লি বলেন, ‘'অনেকেই এনগেজমেন্টের পর আসল কথাবার্তা শুরু করেন। অথচ এগুলো আগেই করা উচিত। তা না হলে পরে ভুল বোঝাবুঝি বা ব্রেক আপের আশঙ্কা থেকে যায়।'
হবু সঙ্গীকে কী প্রশ্ন করবেন?
১. সাধারণ জীবন না বড়লোক হওয়ার ইচ্ছা?
বিয়ের আগে অবশ্যই এটা জেনে নিন। কারণ ধরুন, আপনি সাধারণ, সাদামাটা জীবনযাত্রাতেই বিশ্বাসী। এদিকে আপনার সঙ্গীর বিলাসবহুল জীবন চান। সেক্ষেত্রে দু'জনে দুই মেরুর মনোভাবের হলে বেশ গণ্ডগোল হতে পারে। ফলে উনি কীভাবে টাকা খরচ করেন, সঞ্চয় করেন, কোনও ঋণ আছে কি না— এসব নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতে হবে।
২. সন্তান চাই?
এই বিষয়ে শুরুতেই আলোচনা করাটা জরুরি। যদি কেউ সন্তান না চান, তাহলে সেটা আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া উচিত। আবার সন্তান ধারণে সমস্যা হলে কী করবেন, IVF করাবেন না দত্তক নেবেন— এ নিয়েও মতামত জানতে হবে। সময়ের সঙ্গে মত বদলালেও, এখনকার অবস্থান জানা জরুরি।
৩. সন্তান পালন নিয়ে মত কী?
শুধু সন্তান চাই কি না, তা জানলেই হবে না। দু'জনেই যদি চাকরিজীবী হন, সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে সন্তান বড় করার দায়িত্ব কে নেবেন— এই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকাটা জরুরি। স্ত্রীকে বাড়িতেই থাকতে হবে, না কি স্বামী সমান দায়িত্ব নেবেন? এই সব বিষয়ে আগে থেকেই বোঝাপড়া থাকা দরকার।
৪. বিয়ের গুরুত্ব ঠিক কতটা?
কেউ কেউ ভাবেন বিয়ে মানে সমান পার্টনারশিপ। আবার কেউ মনে করেন এটা সামাজিক বা আইনি বন্ধন ছাড়া কিছুই নয়। কার কী প্রত্যাশা এই সম্পর্ক থেকে, তা আগেই জানা থাকলে ভবিষ্যতে অনভিপ্রেত জটিলতা এড়ানো যায়।
সুখী দাম্পত্যের জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি জরুরি
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনও দাম্পত্যই 'ডিভোর্স-প্রুফ' নয়। কিন্তু বিয়ের আগে এই প্রশ্নগুলি করলে, অনেক ভুল বোঝাবুঝি, মনোমালিন্য, বা মানসিক দূরত্ব এড়ানো সম্ভব। সঠিক সময়ে সঠিক প্রশ্ন করে, সম্পর্কের ভিত মজবুত করুন।