প্রযুক্তি যত এগোচ্ছে আমরা তার দাস হয়ে পড়ছি। বড়রা তবু জেনে বুঝে বা কাজের সূত্রে ব্যবহার করি। কিন্তু শিশুরা অনেক বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছে বিভিন্ন সময়। যা তাদের মানসিক ও স্বভাবগত পরিবর্তন ঘটিয়ে দিচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। এটা গোড়াতেই নষ্ট করা দরকার শিশুর মনের সুষ্ঠ মানসিক বিকাশের জন্য। বকাঝকা করলে অনেক সময় উল্টো ফল হয়।তবে কিছু কৌশল রয়েছে, যা চেষ্টা করে আপনি বাচ্চাদের ফোন বা স্মার্ট টিভি থেকে অনেকাংশে দূরে রাখতে পারবেন।
শিশুকে অন্য কিছুতে ব্যস্ত রাখুন
আপনি তাদের শারীরিক কাজ, ছবি আঁকা, খেলায় ব্যস্ত রাখুন। এর জন্য বাজার থেকে এমন খেলনা আনতে পারেন যাতে শরীরে পরিশ্রম হয়। শিশুর পছন্দ বুঝে খেলার সামগ্রী আনুন। সাইকেল এনে দিন। ক্যারম আনুন, দাবা খেলা শেখান, লুডো খেলতে পারেন। এই ধরনের সৃজনশীল কাজ করার প্রতি শিশুর আগ্রহও বাড়তে থাকবে এবং সে এসব কাজে বেশি সময় ব্যয় করবে।
পার্কে নিয়ে যান
ছুটিতে সব সময় চাপিয়ে না দিয়ে, খেলতে নিয়ে যান। পার্কে নিয়ে যান। শিশুরা যত খেলাধুলো বা অন্য শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাবে, তত তার মানসিক বিকাশ ঘটবে। আর বাড়িতে বসিয়ে রাখলে হয় ফোন, না হয় ভিডিও গেম, কম্পিউটার, টিভিতে থাকবে। সন্তানের সঙ্গে নিজেও সময় কাটান। ব্যাডমিন্টন খেলুন বা অন্যান্য খেলাধুলা করুন। আপনার যাওয়ার সময় না থাকলে, আপনার সন্তানকে অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে পার্কে পাঠান।
কথা বলার সময় গুরুত্ব দিন
সন্তানের কাছ থেকে ফোন নেওয়া বা টিভির সুইচ বন্ধ করার ক্ষেত্রে নরম হন। কোনও গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে তাঁকে আদর করুন। ভালভাবে ডেকে স্কুল বা অন্য কোনও শিশুর ভাললাগার বিষয় নিয়ে কথা বলে ভুলিয়ে দিন। শিশুকে ভালবেসে বোঝান এবং তার ক্ষতির কথাও তাতে জানান।
নিয়ম তৈরি করুন
বাচ্চাদের পক্ষে গ্যাজেট বা স্মার্ট টিভি সম্পূর্ণরূপে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয় এবং আপনি চান না যে তারা সর্বদা এতে নিযুক্ত থাকুক। এমতাবস্থায় মধ্যম পথ বের করা প্রয়োজন। আপনার সন্তানকে গ্যাজেট দেওয়ার বা স্মার্ট টিভি দেখার নিয়ম তৈরি করুন। এর জন্য একটি সময় নির্ধারণ করুন। তাকে বলুন কোন সময় থেকে এবং কতক্ষণ শিশু এগুলো ব্যবহার করে। প্রয়োজনে অভিভাবকদেরও গ্যাজের নেশা বা ব্যবহার কমাতে হবে।
নিজেরা মোবাইল-টিভি কম দেখুন
বাচ্চাদের সামনে নিজেরা উদাহরণ সৃষ্টি করুন। নিজেরা মোবাইল-টিভি কম দেখুন। নিজেরা যা করবেন, বাচ্চারা তা অনুকরণ করবে। নিজেরা বই পড়ুন, খেলা নিয়ে আলোচনা করুন।