Chanakya Niti: চাণক্য নীতিকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সর্বোত্তম নীতি বলা হয়। এ নীতি প্রচারের কাজ এখনো চলছে। দাবি করা হয়, চাণক্য নীতি আজও ততটাই প্রাসঙ্গিক, যতটা চাণক্যের জীবদ্দশায় ছিল। স্ত্রীকে সর্বদা খুশি ও সন্তুষ্ট রাখার সবচেয়ে বড় মন্ত্রটি চাণক্য নীতিতে রয়েছে।
বিশ্বের যে কোনও ব্যক্তি যিনি তার স্ত্রীকে সর্বদা খুশি এবং সন্তুষ্ট রাখতে চান তাকে অবশ্যই চানক্য নীতি অনুসরণ করতে হবে। চাণক্য নীতিতে স্ত্রীকে সন্তুষ্ট রাখতে উটের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
উটের পাঁচটি গুণ দারুণ কাজ করবে
যে ব্যক্তি তার জীবনে উটের বিশেষ গুণাবলি গ্রহণ করে সে তার স্ত্রীকে সবসময় সন্তুষ্ট রাখে। উটের সবচেয়ে বড় গুণ হল, সে সবসময় তৃপ্তিতে ভরপুর থাকে। যেটুকু খাবার পায় তাতেই সন্তুষ্ট। একইভাবে, একজন ব্যক্তির যদি তার জীবনের সমস্ত সময় তৃপ্তির অনুভূতি থাকে তবে সে কেবল সুখীই থাকে না, তার পরিবারকেও সুখী রাখতে পারে। সে তার কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে যা পায় তাতেই সন্তুষ্ট থাকে।
স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার দায়িত্ব বুঝে নিন
চাণক্য নীতিতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে যে একজন পুরুষের উচিত তার স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সন্তুষ্ট করাকে তার নৈতিক দায়িত্ব মনে করা। এই গুণের অধিকারী ব্যক্তির ঘরে ও পরিবারে কখনো ঝগড়া হতে পারে না। যদি স্ত্রী সম্পূর্ণরূপে সন্তুষ্ট থাকে, তবে তার বাড়িকে স্বর্গ করে রাখার ক্ষমতা রয়েছে।
উটের মত সাহস
চাণক্য নীতিতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে একজন মানুষকে উটের মতো সাহসী এবং বীর হতে হবে। ঠিক যেমন উট কোনো অবস্থাতেই ভয় পায় না। সে যে কোন পরিস্থিতিতে তার প্রভুকে রক্ষা করে, একইভাবে একজন পুরুষেরও উচিত তার স্ত্রী, সন্তান ও পরিবারকে যে কোন পরিস্থিতিতে রক্ষা করা। যে কোনও মহিলা এমন সাহসী পুরুষের প্রেমে পড়তে পারেন। একজন সাহসী পুরুষের স্ত্রী তার স্বামীর জন্য সর্বদা গর্বিত।
আনুগত্য সবচেয়ে বড় শর্ত
চাণক্য নীতিতে আচার্য চাণক্য আনুগত্যকে সবচেয়ে বড় গুণ বলে বর্ণনা করেছেন। উটের আনুগত্য নিয়ে যেমন কোনো সন্দেহ করা যায় না, তেমনি একজন পুরুষেরও উচিত তার স্ত্রীর প্রতি অনুগত হওয়া। প্রত্যেক স্ত্রী তার বিশ্বস্ত স্বামীকে নিঃশর্ত ভালোবাসে। এই ধরনের পুরুষদের পৃথিবী সর্বদা সুখে ভরপুর এবং সর্বদা উন্নতি করতে থাকে। অনুগত পুরুষদের উদাহরণও সর্বত্র দেওয়া হয়।
চাণক্য নীতি - সতর্কতা হৃদয় জয় করতে পারে
চাণক্য নীতিতে বলা হয়েছে যে উট সর্বদা সতর্ক থাকে। গভীর ঘুমের মধ্যেও উট এতটাই সজাগ থাকে যে সামান্য শব্দ হলেই সক্রিয় হয়ে ওঠে। একইভাবে একজন মানুষকেও তার কর্তব্যের প্রতি সজাগ থাকতে হবে। যে পুরুষ তার স্ত্রী, সন্তান ও পরিবারের জন্য পুরুষের কর্তব্যের প্রতি সদা সজাগ থাকে এবং ঘুমের মধ্যে সামান্য শব্দ হলেও যে জেগে স্ত্রীর খোঁজ নেন তার প্রতি স্ত্রী সর্বদা খুশি থাকে।