ভারতের বহু স্থানে এখনও লভ ম্যারেজ একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা হয়। বিবাহিত দম্পতির প্রায়ই এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়, তাদের প্রেম না দেখাশোনা করে বিয়ে? ভারতে এটা বিশ্বাস করা হয় যে, বিয়ে শুধু দু'জনের মধ্যে নয়, দুই পরিবারের মধ্যে হয়। সেক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের প্রেমের বিয়েতে রাজি করানো বহুক্ষেত্রে একটি পরিশ্রম সাপেক্ষ কাজ। সম্পর্কে থাকাকালীনই মনে ভয় কাজ করে, বাবা-মা বিয়েতে রাজি হবে তো?
অনেকেরই মনের মানুষের কথা বাবা-মাকে বোঝাতে বছরের পর বছর সময় লেগে যায়। আপনিও যদি প্রেম করে বিয়ে করতে চান এবং এর জন্য পরিবারের সম্মতি চান, তাহলে রইল কিছু টিপস।
দূরত্ব মুছে দিন
প্রত্যেক সন্তানই বাবা-মাকে খুব ভালোবাসে। কিন্তু অনেক বাড়িতে খোলামেলা ভাবে কিছু কথা বলতে সংকোচ করে। যার কারণে বাবা-মা ও সন্তানের মধ্যে তৈরি হয় বড় ব্যবধান। আপনি যদি বাবা-মাকে লভ ম্যারেজে রাজি করাতে চান, তাহলে এই সীমানা ভেঙে তাদের বন্ধু হতে হবে। আপনার পরিবারের সঙ্গে যতটা সম্ভব সময় কাটান এবং বাবা- মাকে উপলব্ধি করান যে, আপনার সঙ্গীর আগমনের পরেও তাদের সম্পর্ক একই থাকবে।
বিয়ের আলোচনা
বাবা-মায়ের সঙ্গে বিয়ের বিষয় কথা বলুন। তারা কী ধরনের পুত্রবধূ বা জামাই চান, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। আপনি নিজেই তাদের বলুন যে, সঙ্গী হিসাবে আপনি কোন ধরনের মানুষ পছন্দ করেন। তবে শব্দচয়ন বিজ্ঞতার সঙ্গে করা গুরুত্বপূর্ণ।
অভিভাবকদের একজনের আস্থা অর্জন করুন
বিয়ে সংক্রান্ত আলোচনা করে দেখুন, আপনার বাবা- মায়ের আপনার জন্য কী চাইছেন। যদি দু'জনেই রাজী থাকেন, তাহলে সবচেয়ে মঙ্গল। যদি তা না হয়, যে কোনও একজন অভিভাবককে রাজী করাতে হবে। প্রয়োজনে সঙ্গীর সঙ্গে তাদের পরিচয় করিয়ে দিন।
আত্মীয়দের সাহায্য
সব আত্মীয় প্রেমের বিয়ের বিপক্ষে নয়। তাদের সাহায্য নিন। বিশেষ করে যারা আপনার বাবা-মায়ের চেয়ে বড় এবং যাদের তারা সম্মান করেন। দাদু- ঠাকুমা-জেঠু- মামাও হতে পারে। ভাগ্য আপনার সঙ্গে থাকলে, তারা আপনার বাবা-মাকে বোঝাতে সফল হবেন।
সঙ্গীর সঙ্গে আলাপ
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, সঙ্গীর সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দিন। সঙ্গীকে পরিবারের প্রতিটি সদস্য সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য দিতে ভুলবেন না। এভাবে, সে জানবে কীভাবে সবার মন জেতা সম্ভব এবং কাকে কী বলতে হবে।