প্রেম এবং বিয়ের মতো সম্পর্কের ক্ষেত্রে অবিশ্বাস বেদনাদায়ক এবং এটি সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি। স্বামী বা স্ত্রীর কাছ থেকে বিশ্বাসঘাতকতা মানুষকে সারা জীবন যন্ত্রণা দেয়। প্রেম যত গভীর হয়, এর মধ্যে অবিশ্বাস তত তীব্র হয়। বেশিরভাগ মানুষের জন্য, সারা জীবন এই আঘাত থেকে সেরে ওঠা কঠিন হয়ে পড়ে। অন্যদিকে এমন অনেকে আছেন, যারা বুঝতেও পারেন না যে তারা প্রতারিত হচ্ছেন। কিছু লক্ষণ রয়েছে, যা আপনাকে প্রতারণা এবং অবিশ্বাস থেকে নিজেকে বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে।
যদিও এই লক্ষণগুলির মধ্যে কোনওটি দেখে নিশ্চিতভাবে বলা যায় না যে, আপনার সঙ্গী আপনার সঙ্গে ১০০ শতাংশ প্রতারণা করছেন। আচরণের পরিবর্তন, অদ্ভুত কাজ এবং অদ্ভুত ঘটনা একসঙ্গে আপনাকে ভবিষ্যতের পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে এবং সেগুলি এড়াতে সাহায্য করতে পারে।
যোগাযোগে পরিবর্তন
আপনার সঙ্গীর মধ্যে বা বিবাহিত সম্পর্কের মধ্যে যোগাযোগের অভাব কখনই ইতিবাচক লক্ষণ নয়। আপনি যদি আপনার স্ত্রী বা স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে, তার সঙ্গে আপনার দিন কাটাতে বা আপনার ভালোবাসা প্রকাশ করতে অক্ষম হন, তবে আপনার সম্পর্কের মধ্যে সমস্যা রয়েছে। যোগাযোগের অভাব আপনার মধ্যে ব্যবধান বাড়ায়, তাই সময় মতো এটি সমাধান করা গুরুত্বপূর্ণ।
মনোভাবের পরিবর্তন
আপনার স্ত্রীর কাজের চাপ থাকতে পারে অথবা পারিবারিক অনেক সমস্যা থাকতে পারে যা, তাদের মনোভাবের পরিবর্তন আনতে পারে। কিন্তু যদি আপনার সঙ্গী আপনার পছন্দ-অপছন্দ বা আপনার আত্মসম্মান সম্পর্কে চিন্তা করা বন্ধ করে দেন, তাহলে এটি ভাল নয়। এছাড়াও, যদি আপনার স্ত্রী আপনার প্রতি আরও সমালোচনামূলক হয়ে ওঠেন এবং প্রায়শই আপনার সঙ্গে ঝগড়া-অশান্তি করতে থাকেন, তাহলে এটি একটি সতর্কতা সংকেত।
আগ্রহের অভাব
যখন কোনও পুরুষ বা মহিলা প্রেমে পড়েন, তখন তারা তাদের সঙ্গীর ক্ষুদ্রতম বিষয়গুলিরও যত্ন নেন। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়, কিন্তু যদি আপনার স্বামী বা স্ত্রী আপনার প্রতি উদাসীন হয়ে পড়েন, তাহলে এর অর্থ হতে পারে যে আপনার প্রতি তার আগ্রহ কমে গেছে। সঙ্গী বিচ্ছিন্ন থাকা, আলাদা ঘরে থাকা, সন্তান এবং সঙ্গী থেকে দূরে থাকা বা বাড়ির বাইরে বেশি সময় কাটানো সম্পর্কের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।