যে কোনও সম্পর্কে একে অপরের কাছে থেকে প্রত্যাশা থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। তবে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় যখন একে অপরের কাছ থেকে অবাস্তব প্রত্যাশা থাকে। সঙ্গীকে প্রত্যাশার কথা বলা এবং শেয়ার করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সঙ্গী আপনার এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে কি না, তা জানাও গুরুত্বপূর্ণ।
অনেক সময় মানুষ খুব দুঃখ পায় যখন তাদের প্রত্যাশা পূরণ হয় না। অনেকে তাদের প্রত্যাশা পূরণ না হলে, সঙ্গীকে দোষারোপ করে এবং তাদের সঙ্গে ঝামেলা শুরু করে। যার ফলে আপনার সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে এবং সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। কিছু অবাস্তব প্রত্যাশা ভুল করেও সঙ্গীর কাছে থেকে করা উচিত নয়। এটি আপনার সম্পর্কের উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানো
সম্পর্কের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষ সবচেয়ে বড় যে ভুলটি করে, তা হল, সঙ্গী গোটা সময়টা তার সঙ্গে কাটাবে, এটা ভাবা। সঙ্গী, আপনার এই প্রত্যাশার ফলে বিরক্ত হতে পারে। সঙ্গী ছাড়াও আপনার একটি গ্রুপ থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এতে সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় থাকে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতানৈক্য
সঙ্গীর সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। দু'জনের নিজস্ব মতামত থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি অন্য ব্যক্তির উপর চাপিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে সম্মান এবং স্পষ্টতার সঙ্গে ভাগ করুন। এটি আপনার সম্পর্কের উপর কোনও খারাপ প্রভাব ফেলবে না।
অগ্রাধিকার
সম্পর্কে আরও একটি বড় ভুল হল, সঙ্গী আপনাকে প্রথম অগ্রাধিকার দেবে, সেটা আশা করা। সম্পর্ক যে কোনও ব্যক্তির জীবনের একটি খুব বড় অংশ। কিন্তু কখনও কখনও একজন ব্যক্তির জন্য সম্পর্কের চেয়ে অন্যান্য আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস রয়েছে।
মন পড়া
আপনি কী চান, আপনার কী প্রয়োজন এবং কেন আপনি কিছু না বলে রেগেছেন বা দুঃখ পেয়েছেন, তা আপনার সঙ্গী বুঝতে পারবে বলে আশা করা ভুল। তাই আপনি যদি আপনার সম্পর্ক বাঁচাতে চান তাহলে আপনার সঙ্গীর সাথে পরিষ্কারভাবে কথা বলা জরুরি।
খারাপ বোধ করা
একটি আদর্শ সম্পর্কে দু'জনের মধ্যে ঝগড়া- অশান্তি লেগেই থাকে। তবে মাথা ঠান্ডা হলে অশান্তি জিইয়ে না রেখে, অপরজন আগে 'সরি' বলবে তা না ভেবে, প্রয়োজনে নিজেই বলে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়াই শ্রেয়।