প্রতিটি মানুষের জীবন যাপনের জন্য একজন সঙ্গীর প্রয়োজন। একজন সঙ্গী, যে আপনাকে আবেগ- অনুভূতি বুঝতে পারবে, সমর্থন করবে, ভালোবাসবে এবং যার সঙ্গে আপনি সুখী হবেন। একটি সুস্থ সম্পর্কের জন্য, দু'জন মানুষের একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাস থাকা গুরুত্বপূর্ণ। সম্পর্কের কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেই এটি সম্ভব হতে পারে।
যে কোনও সম্পর্কের মধ্যে সীমা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে সঙ্গী তার ব্যক্তিগত স্থান পেতে পারে এবং নিরাপদ বোধ করতে পারে। এই দুটি জিনিসই সম্পর্কে থাকা প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এমন কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, যা প্রতিটি সম্পর্কের জন্য প্রয়োজনীয়।
শারীরিক সীমাবদ্ধতা- একে অপরকে ভালোবাসার অর্থ এই নয় যে দিনে ২৪ ঘণ্টা একসঙ্গে থাকবেন। একে অপরকে শারীরিকভাবে স্পেস দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গীর ব্যক্তিগত স্থান এবং ইচ্ছাকে সম্মান জানানো গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজন এবং অস্বস্তি সম্পর্কে একে অপরের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলুন।
মানসিক সীমাবদ্ধতা- প্রত্যেক ব্যক্তির পটভূমি, লালন-পালন এবং অভিজ্ঞতা ভিন্ন। সেই সঙ্গে, প্রতিটি মানুষের আবেগ দেখানোর উপায়ও বেশ ভিন্ন। একে অপরের অনুভূতি, গোপনীয়তা এবং আবেগকে সম্মান করা গুরুত্বপূর্ণ। আবেগ নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করবেন না।
যৌন সীমাবদ্ধতা- যে কোনও সম্পর্কের মধ্যে স্বাস্থ্যকর এবং সম্মতিমূলক যৌন সীমাবদ্ধতা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গীকে নিরাপদ বোধ করার জন্য, সম্পর্কের মধ্যে যোগাযোগ, সম্মতি এবং যৌন সীমানা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ডিজিটাল সীমাবদ্ধতা - দু'জন মানুষ বহুক্ষেত্রে একসঙ্গে থাকলেও, তাদের মানসিক দূরত্ব অনেকটাই। এর অন্যতম কারণ হল ডিজিটালাইজেশন। যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রে, প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে কিছু সীমানা নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে দু'জন মানুষের একে অপরের ব্যক্তিগত ডিজিটাল স্পেসে হস্তক্ষেপ না করাই ভাল।
যোগাযোগের সীমাবদ্ধতা- সম্পর্কের মধ্যে অস্বস্তিকর যোগাযোগের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন। কঠিন বিষয়, আবেগ এবং পরিস্থিতি দাম্পত্যে আলোচনা করা যেতে পারে। না থেমে বা বাধা না দিয়ে একে অপরের কথা মনোযোগ সহকারে শোনা গুরুত্বপূর্ণ।