গোটা পৃথিবীর মধ্যে এমন খুব কম লোকই রয়েছেম, যাঁরা তার নিজের ওজন নিয়ে সচেতন নন। বাড়তি ওজন নিয়ে সব সময় অনেকেই বিভ্রান্ত এবং ব্যতিব্যস্ত থাকেন। ওজন কমিয়ে ঝরঝরে থাকতে চান বেশিরভাগই। কিন্তু সবাই যে এমনটা চান তা নয়, কিছু লোক এমন রয়েছে, যারা ওজন বাড়াতে চান। তাদের সমস্যা আবার উল্টো। যাই খান, যত ক্যালোরি খান না কেন, ওজন এক ফোঁটা বাড়ে না। যা নিয়ে তারা হতাশায় ভোগেন তাঁরা। তবে তাদের কী সমস্যার কোনও সমাধান নেই? নিশ্চয়ই আছে। তবে ওজন কমানো যেমন কঠিন, তেমনই বাড়ানও কিন্তু কঠিন। কোনওটাই সহজ নয়। নিজের শরীরের স্বাভাবিক মেটাবলিজমকে বদলে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া কঠিন কাজগুলির মধ্যে একটি। আসুন আমরা জেনে নেই কিভাবে সহজে ওজন বাড়াবেন?
দিনের শুরু করুন হালকা এক্সেjসাইজ দিয়ে
১. কারণ এতে শরীরের রক্ত সঞ্চালন ভাল থাকবে এবং খিদে বাড়বে।
২ ব্রেকফাস্টে দুধ, মাখন বেশি করে খান। শরীরকে হেলদি রাখার জন্য ওজন বাড়াতে এটি অত্যন্ত সহায়ক হবে।
৩. প্রোটিন এনার্জির খুব ভালো স্রোত। এ কারণে ডাল, মাছ, চিকেন, মটন এবং ডিম খেতে হবে।
৪. কিশমিশ রাতে ভিজিয়ে সেটি সকালে খান। দু'তিন মাস পর্যন্ত খেতে থাকলে আপনি পার্থক্য দেখতে পাবেন।
৫. রোগা থেকে মোটা হওয়ার জন্য আখরোট খাওয়া খুব ভাল অপশন। কারণ এর মধ্যে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এটি অত্যন্ত ভাল ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
৬. কলাতে সম্পন্ন আহার বলে মনে করা হয়। রোজদিন চারটে করে কলা খেলে খুব দ্রুত ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
৭. আলুর মাত্রা খাওয়াতে বাড়িয়ে দিতে হবে। আলু কার্বোহাইড্রেটের খনি। এটি খুব দ্রুত ওজন বাড়াতে পারবেন আর কিছু দিনের জন্য খাওয়ার সরষা এবং রিফাইন তেল বদলে নারকেল তেলে রান্না করা শুরু করুন। নারকেল তেলে রান্না করলে শীর্ণকায় থেকে স্থূলকায় হওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
৮. ডেইরি প্রোডাক্ট যেমন দুধ, দই, রোজকার খাবারে রাখতে হবে। এতে ফ্যাটি এসিড থাকে এবং এটি খুব তাড়াতাড়ি ওজনকে বদলে দেয়।
৯. খুব ভালো করে ঘুমোতে হবে। ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
১০. খেজুর দুধে ফেলে ফুটিয়ে রাতে শোয়ার আগে ভালো করে খান। খেজুর চাবিয়ে এবং দুধটুকু খেয়ে ফেলুন।
এই কয়েকটা জিনিস নিয়মিত পড়তে থাকলে কয়েক মাসের মধ্যে কয়েক কেজি ওজন বাড়িয়ে ফেলা সম্ভব।
(সতর্কতাঃ পরিস্থিতি এবং প্রত্যেকের শরীরের গঠন অনুযায়ী এর ফল বিভিন্ন রকম হতে। পারে তাই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।)