এক মহিলা নিজের ওজন নিয়ে অত্যন্ত বিপাকে পড়েন। তাঁর ১৩৯ কেজি ওজন হয়ে গিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে তিনি সার্জারির মাধ্যমে ওজন কম করার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও সার্জারির পরে তাঁর ওজন ৫০ কেজির বেশি কমে গেল। কিন্তু মহিলা আরও একটি অন্য সমস্যায় পড়েন। তিনি নিজেই নিজের ওয়েট লস জার্নির কাহিনী শেয়ার করেছেন।
মিরর ইউকের বক্তব্য অনুযায়ী, ২৭ বছর বয়সী মহিলার নাম তিসজানা উডওয়ার্ড। তিসজানা ব্রিটেনের লন্ডনের বাসিন্দা। তিনি জানিয়েছেন যে, ১৩৯ কিলো হওয়ার কারণে তাঁর নানা রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। কাজকর্মে এনার্জি পাচ্ছিলেন না। নড়াচড়া করতে, বিভিন্ন কাজে প্রচুর সমস্যা তৈরি হচ্ছিল। মেন্টাল হেলথ এর উপরেও এর প্রভাব পড়ছিল। তিনি কোনও কাজকর্মে উৎসাহ পেতেন না। এ কারণে তিনি গ্যাস্ট্রিক স্লিভ সার্জারি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন।
এ কারণে তিসজানা লন্ডন থেকে তুরস্কে চলে যান। তিনি গ্যাস্ট্রিক স্লিভ সার্জারি করাতে সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি খরচ করেন। এই সার্জারি করার পর ডাইজেস্টিভ সিস্টেমে কিছু রদবদল করা হয়। যার সাহায্য ওজন কম হয়। এই সার্জারি ওই পরিস্থিতিতে করা হয়, যখন ব্যক্তির ওজন ডায়েট বা এক্সারসাইজের মাধ্যমে কিছুতেই কমে না বা স্থূলত্বের কারণে তাঁর অন্য নানারকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
এই সার্জারি তাঁর পেটের সাইজ কম করে দেয়। তাঁর ওয়েট ১৪৯ কেজি ৮৮ গ্রাম ছিল কিন্তু বেশি খাওয়ার সমস্যা তৈরি হয়ে যায়। আসলেই সার্জারির পরে কম খাওয়া সত্ত্বেও কোন মানুষের পেট ভরা বলে মনে হয়। কিন্তু এর বিপরীত প্রতিক্রিয়াও রয়েছে।
এই ডিসঅর্ডারেগ্রস্ত লোকেদের প্রায় সবসময়ই এবং অস্বাভাবিক মাত্রায় খিদে পেতে থাকে। তাঁরা নিজেদের খিদের উপর কন্ট্রোল করতে পারেন না। খাওয়ার এই সমস্যার কারণে সার্জারির পরে তিসজানার ওজনে উত্থানপতন দেখা দিতে শুরু করে । তিনি জমিয়ে অন্যান্য জিনিসও খান।
তিসজানা নিজের সার্জারি নিয়ে কোনও অনুশোচনা করছেন না। তিনি বলেছেন যে আমার সমস্যা হলো অন্য লোকেদের জানা উচিত যদি তারা সাবধান হয়ে যান তাহলে প্রত্যেক সার্জারি কিছু সাইডএফেক্ট থাকে। সার্জারির পরে ছয় সপ্তাহ ডায়েট প্ল্যান দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করেন এবং অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই এই সময়ে বেশি না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।