আমরা সারাদিনের ব্যস্ততা বা সংসারের বিভিন্ন ঝক্কি সামলে অনেক সময় নিজের মনেরই খোঁজ নিতে ভুলে যাই। দিন শেষে অনেকেরই ভিড়ের মধ্যেও একা লাগে। কখনও কখনও মনে প্রশ্ন ওঠে, সত্যিই কী মন ভালো আছে? তবে এই প্রশ্নের উত্তর জানতে নিজেকে করতে হবে এই আরও তিন প্রশ্ন। সেগুলি হল-
আমার মন ও শরীর যদি ব্যাটারি হতো, তাহলে তাতে এখন কতটুকু চার্জ আছে?
দিনের শুরুটা খুব কর্মচঞ্চলভাবে শুরু করলেও সময় গড়াতে গড়াতে শরীর ও মন দুইয়ের সক্রিয়তাই কমতে থাকে। ব্যাপারটিকে ব্যাটারির সঙ্গে তুলনা করা যায়। ফোনের চার্জ কমতে থাকলে যেমন কার্যক্ষমতা কমতে থাকে এবং আবারও চার্জের প্রয়োজন হয়, তেমনই শরীর ও মনেরও ক্লান্তি বুঝে প্রয়োজন বিরতি। দিনের যেকোনো সময় নিজেকে এ প্রশ্ন করে এটা নিশ্চিত হতে পারেন যে আপনার পক্ষে কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব কি না। যদি মনে হয়, চার্জ ২০ শতাংশও নেই, তাহলে বিরতি নিয়ে নিজেকে রিচার্জ করা যেতে পারে। এতে বিরতির পর কাজে ফিরলে কাজের এনার্জি বেড়ে যায়।
আমার চিন্তাভাবনার গতিসীমা যদি হয় শূন্য থেকে ১০০, তাহলে আমি এখন কত গতিতে আছি?
সময় নেই, কিন্তু অনেক কাজ বাকি! এ ধরনের মানসিক চাপ বোধ হলে নিজেকে এ প্রশ্ন করতে পারেন। চিন্তার গতি যদি ৮৫ থেকে ১০০ হয়, তাহলে চাপের কারণগুলো খুঁজে বের করে কিছু কাজ পরের দিনের জন্য তুলে রাখতে পারেন। এতে মানসিক চাপ ও অবসাদ কিছুটা হলেও কমে যাবে।
আমার মেজাজ যদি একটি রঙ হয়, তাহলে এখন কোন রঙ অনুভব করছি?
‘তীব্র লাল অনুভব করলে রাগ। আর নীল হলে অবসন্ন বা মন খারাপ,’ বলেন বিশেষজ্ঞরা। দিনের বিভিন্ন সময় মেজাজকে রহ দিয়ে বুঝতে চেষ্টা করলে মনের অবস্থাটা সহজেই বোঝা সম্ভব। উজ্জ্বল রঙগুলো যেমন হলুদ, গোলাপি ইত্যাদি আনন্দময় রং; আর গাঢ় রঙগুলোকে তুলনা করা যেতে পারে দুঃখ, অবসাদ আর ক্লান্তির সঙ্গে। নিজের মনের অবস্থা বুঝতে চোখ বন্ধ করে বেছে নেওয়া যেতে পারে মেজাজের রং।
নিজের মনের অবস্থা বুঝতে চোখ বন্ধ করে বেছে নেওয়া যেতে পারে মেজাজের রঙ
নিজের মনের অবস্থা বুঝতে চোখ বন্ধ করে বেছে নেওয়া যেতে পারে মেজাজের রঙ। দিনের যেকোনো মুহূর্তে নিজেকে বুঝতে এই তিনটি সহজ প্রশ্ন আমাকে বেশ সাহায্য করে। এগুলোর উত্তরে নিজের মানসিক অবস্থা, শক্তির মাত্রা এবং শরীর ও মনের আরও কী প্রয়োজন, তা বুঝতে পারি। বিরতির মুহূর্তগুলোকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে এবং কীভাবে নিজের যত্ন নেওয়া যায়, সে বিষয়েও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি।’