খাবারের স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়ানোর পাশাপাশি ছোট এলাচের স্বাস্থ্যগুণও কম নয়। আয়ুর্বেদের মতে, এটি ‘সাত্ত্বিক ত্রয়’-এর অন্তর্ভুক্ত, যা শরীরের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি টানা ১৫ দিন প্রতিদিন মাত্র দুটি ছোট এলাচ চিবিয়ে খাওয়া হয়, তাহলে শরীরে একাধিক ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।
হৃদযন্ত্রের সুরক্ষায় সহায়ক
এলাচ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এবং প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে। এটি শরীর থেকে অতিরিক্ত জল ও লবণ অপসারণ করে, ফলে রক্তচাপের উপর চাপ কমে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত এলাচ খাওয়া হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়ক হতে পারে।
হজমশক্তি উন্নত করে
গ্যাস, পেট ফাঁপা বা হজমে সমস্যা দূর করতে এলাচ কার্যকর ভূমিকা রাখে। এটি হজম রসের নিঃসরণ বাড়িয়ে খাবার সহজে হজমে সাহায্য করে। খাওয়ার পর এক-দুটি এলাচ খেলে পেটের অস্বস্তি দ্রুত কমে আসে।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করে
এলাচ তেলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস করে। এটি প্রাকৃতিক মাউথ ফ্রেশনার হিসেবেও কাজ করে।
ঋতু পরিবর্তনে সুরক্ষা দেয়
বর্ষা ও শীতকালে সর্দি, কাশি, সাইনাসের সমস্যায় এলাচ উপকারী। এর গরম প্রকৃতি কফ আলগা করে, বুকের চাপ কমায় এবং শ্বাস নিতে স্বস্তি দেয়। হাঁপানি ও ব্রঙ্কাইটিসেও এটি সহায়ক হতে পারে।
সহজ ব্যবহারের উপায়
খাওয়ার পর ধীরে ধীরে চিবিয়ে এলাচের রস মুখে ছেড়ে দিন। চাইলে এর বীজ মধু ও লেবুর সঙ্গে মিশিয়ে ঘরে তৈরি মাউথ ফ্রেশনার বানানো যেতে পারে।