যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা সারা বছরই ডায়েটের মধ্যে থাকে। কিন্তু পুজোর সময় এই মেপে খাওয়া বা ভাজাভুজি না খাওয়া, এইসব ভুলে যেতে হয়। পুজোর চারটে দিন একেবারে কবজি ডুবিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতেই ভালোবাসে বাঙালিরা। আর পুজোর ক’টা দিন এ ভাবে রোজ রোজ বিরিয়ানি, রোল, চাউমিন, বার্গার থেকে শুরু একাধিক হাই ক্যালোরি খাবার খাওয়ার কারণে তরতর করে বাড়তে থাকে মেদ। তাই পুজো শেষ হওয়ার পরই যত দ্রুত সম্ভব ওজন কমানোর চেষ্টায় লেগে পড়তে হবে। নইলে যে সমস্যার শেষ থাকবে না। আসুন তাহলে জেনে নিন ঠিত তোন তোন পদ্ধতি মেনে চললে ওজন কমিয়ে ফেলতে পারবেন।
তেল সমৃদ্ধ খাবার নয়
যে কোনও তেল সমৃদ্ধ খাবার খেলে শরীরে ফ্যাট জমার আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই ওজন কমাতে চাইলে সবার প্রথমে ভাজাভুজি খাওয়া কমাতে হবে। এর পাশাপাশি পাঁঠার মাংস, ঘি, মাখন, চিজের মতো ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া চলবে না। এ সব খাবারও ওজনকে ঊর্ধ্বমুখী করার ক্ষমতা রাখে। তাই বিশেষজ্ঞরা পুজোর পর সবার আগে এ সব খাবারের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন।
মিষ্টি থেকে দূরে
বিজয়া দশমী থেকে আবার মিষ্টি খাওয়া চলতে থাকে। অনেক সময়ই তা এড়ানো যায় না। তবে পুজোর পর ওজন কমাতে চাইলে মিষ্টি খেলেও তা পরিমাণে খুব কম বা মিষ্টির একটু কোণা ভেঙে খেলেন। কারণ, মিষ্টি হলো রিফাইন কার্ব। যে কারণে এই খাবার খেলে তরতর করে ওজন বাড়ে। তবে শুধু মিষ্টি নয়, এর পাশাপাশি কোল্ড ড্রিংকস এবং আইসক্রিমও খাবেন না।
পাতে থাক শাক-সবজি
ঝটপট ওজন কমাতে চাইলে পাতে রাখতে হবে মরশুমি সব শাক, সবজি। কারণ, এ সব উদ্ভিজ্জ খাবারে রয়েছে ফাইবারের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান পেট অনেক ক্ষণ ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। ফলে খিদে পায় কম। আর কম খেলে যে অচিরেই ওজন কমবে, তা তো বলাই বাহুল্য!
রোজ একটা ফল খাওয়া
আমাদের পরিচিত প্রায় সব ফলেই রয়েছে অত্যন্ত উপকারী সব ভিটামিন ও খনিজ। সেই সঙ্গে এগুলিতে জরুরি কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে। যেই কারণে ফল খেলে সুস্থ থাকে শরীর। এড়িয়ে চলা যায় একাধিক রোগের ফাঁদ। শুধু তাই নয়, ফলে রয়েছে বেশ কিছুটা ফাইবার। আর এই উপাদান প্রত্যক্ষ ভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৩০ মিনিট ব্যায়াম
ওজন কমাতে চাইলে ডায়েটে নজর দেওয়ার পাশাপাশি রোজ ব্যায়াম করা জরুরি। এক্ষেত্রে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরালেই উপকার পাবেন বেশি। আর জিমে যেতে না চাইলে বাড়িতেই পুশ আপ, সিট আপ এবং স্কাউটের মতো ব্যায়ামগুলি করুন। তাতেও ওজন কমে যাবে। তবে ব্যায়ামে যদি অনীহা থাকে, সেক্ষেত্রে দিনে অন্ততপক্ষে ৪৫ মিনিট জোর গতিতে হাঁটুন। তা হলেও অনেকটা ক্যালোরি ঝরবে। দ্রুত কমবে ওজন।