Easy Flowering Plants: বিশেষ যত্ন করতে হবে না। খালি নিয়মিত রোদ-জল। আর তাতেই গাছ ভর্তি ফুল হবে। বিশ্বাস হচ্ছে না? আসলে এমন বেশ কিছু গাছ রয়েছে, যাতে কোনওরকম বাড়তি যত্ন ছাড়াই প্রচুর ফুল ফুটবে। সামান্য কিছু নিয়ম মেনে চললেই ফুল হবে। সবার আগে জেনে নিন, এর জন্য কী কী নিয়ম মানতে হবে।
১. ভাল মাটিতে গাছ বসান। নিজে মাটি তৈরি করতে না জানলে, নার্সারি থেকে কিনুন। এই সামান্য বিনিয়োগই আপনাকে অনেকটা এগিয়ে রাখবে।
২. মাটির টবে গাছ বসান। প্লাস্টিকের টব এড়িয়ে চলুন। টবের তলায় যেন জল বের হওয়ার জায়গা থাকে। টবের তলায় ১-২ ইঞ্চি নুড়ি দিয়ে তবেই মাটি দিন।
৩. ফুল গাছ মানেই তাতে রোদ লাগবে। একেবারে রোদ ছাড়াই ফুল হবে, এমন আশা না করাই ভাল।
৪. বেশি জল দিলেই বেশি ফুল, এমন কোনও মানে নেই। মাটি একেবারে শুকিয়ে এলে তবেই জল দেবেন। অযথা জল দেবেন না।
৫. গাছের গোড়ায় যেন জল না জমে। টবে জল দেওয়ার ৪-৫ মিনিটের মধ্যেই যেন তলার গর্ত দিয়ে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে আসে। মাটি হবে নরম, ভিজে ভিজে। কাদা-কাদা নয়।
৬. দেড় মাস অন্তর সার দেবেন। নার্সারিতে গাছ বললেই সেই অনুযায়ী সার দিয়ে দেবেন।
এবার জেনে নিন কোন-কোন গাছে ভাল ফুল হবে
১. জবা: ডাল কেটে বসিয়ে দিলেই হয়ে যাবে। প্রথমে গাছ বারবার ছেঁটে ঘন করবেন। তাতে ফুল বেশি হবে।
২. অ্যাডেনিয়াম: এই গাছের দাম একটু বেশি। এটি মরু গোলাপ নামেও পরিচিত। এই গাছের দুইটি বিষয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কড়া রোদ প্রয়োজন। আর গোড়ায় যেন কোনওভাবেই জল না বসে। জল জমলেই পচে যাবে।
৩. বোগানভেলিয়া: সহজ ভাষায় যাকে কাগজ ফুল বলে। জাতের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। ছোট পাতার জাত দেখে নেবেন। হলুদ, ম্যাজেন্টা, লাল, সাদা ইত্যাদি রঙ নিতে পারেন। পরিমিত জল দেবেন। মাটি সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে তবেই জল দেবেন।
৪. রঙ্গন: যত্ন ছাড়াই ফুল হবে। বিশেষত বর্ষাকালে বৃষ্টির জল পেলে গাছ ফুলে ঢেকে যাবে। ফুল হয়ে যাওয়ার পরেই গাছের ডগা ছেঁটে দেবেন। গাছ যত ঘন হবে, তত দেখতে ভাল লাগবে।
৫. শিউলি: বাগানে অনেকটা জায়গা থাকলে এই গাছটি করতে পারেন। দুর্গাপুজোর মরসুমে ঝুড়ি ভর্তি ফুল পাবেন।