বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মানেই আম-কাঁঠালের সময়। আর কাঁচা হোক বা পাকা আম খেতে সবাই ভালোবাসেন। আমের পুষ্টিগুণ সকলেই প্রায় জানেন কিন্তু আম পাতার উপকারিতাও যে আছে সেটা কজন জানেন। ফলের রাজা আম হলে আমের পাতাও কিন্তু কোনও অংশে কম যায় না। বাতব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ব্লাডপ্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে আমপাতা। আর আমের মধ্যে রয়েছে অনেক উপকারী গুণ। এতে রয়েছে ভিটামিন, এনজাইম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ উপাদান।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আমপাতার অনেক উপকারিতার কথা জানানো হয়েছে। এই পাতা ব্যবহারের ফলে যেসব রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, যেসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আম পাতায় মেঞ্জিফিরিন নামক একটি সক্রিয় উপাদান থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
অনেকেই বলেন ডায়েবেটিসে আক্রান্তদের আম খাওয়া ঠিক নয়। কিন্তু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য আমপাতা বেশ কার্যকরী। এতে রয়েছে ট্যানিনাস নাম অ্যান্থোসায়ানিডিন থাকে। যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। গরম জলে পাতা সেদ্ধ করে চায়ের মতো করে পান করুন। এছাড়া আমপাতা পরিস্কার করে সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে জল ছেঁকে নিয়মিত পান করুন। শরীরের ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য কচি আম পাতা খুবই উপকারী।
হেঁচকিতে উপকারি
অনেক সময় দেখা যায় বারবার হেঁচকি উঠছে। আমপাতা পুড়িয়ে তার ধোঁয়া নাকের কাছে ধরলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
বাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
বাতের সমস্যায় কচি আমপাতা খুবই উপকারি। কচি আমপাতা পানিতে ফুটিয়ে প্রতিদিন সেই পানি খেলে উপকার পাবেন।
উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্যও আম পাতা বেশ উপকারী। এতে রয়েছে হাইপোট্যান্সিভ উপাদান। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে আমপাতা খেতে পারেন নিয়মিত।
হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টের রোগের জন্য ভালো
শ্বাসকষ্ট হলে বা যাঁদের খুব তাড়াতাড়ি ঠান্ডা লাগার প্রবণতা রয়েছে, হাঁপানি ও অ্যাজমায় ভোগেন, তাঁদের জন্যও আমপাতা ভীষণ কার্যকর। জলের মধ্যে আমপাতা ফুটিয়ে ঠান্ডা করে তাতে মধু দিয়ে নিয়মিত খান। সর্দি-কাশির উপশমের জন্য যথেষ্ট উপকারী।
আঁচিল নিরাময় করে
আঁচিল নিরাময়ে আমপাতা খুব উপকারী। আমপাতা পুড়িয়ে কালো করে নিন। সেই গুঁড়োর মধ্যে সামান্য জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে আঁচিলে লাগান। দ্রুত সেরে যাবে।
কিডনিতে পাথর জমবে না
আমপাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস জল মিশিয়ে খান। কিডনিতে পাথর জমবে না।
ক্ষত নিরাময় করে আমপাতা
আমপাতার সাহায্যে ক্ষত নিরাময়ে করা সম্ভব। আমপাতা পুড়িয়ে যে ছাই হচ্ছে তা ক্ষত স্থানে লাগালে উপকার পাবেন।