হেঁটে দার্জিলিং থেকে ট্রেকিং করার দুর্দান্ত সুযোগ নিয়ে এল গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়ার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (GTA)। যাঁরা শারীরিক সক্ষমতা এবং বিভিন্ন কারণে লম্বা বা পোশাকি ট্রেকিং করতে পারে না, তাঁদের জন্য এই ব্যবস্থা। যার পোশাকি নাম হাইকিং (Hiking)। বিদেশে এই হাইকিং দারুণ জনপ্রিয়। এতদিন চাহিদা থাকলেও নানা কারণে শুরু করা যায়নি। এবার শেষমেষ তা শুরু হল।
শনিবার দার্জিলিংয়ের ম্যাল থেকে শুরু হল হাইকিং(Hiking)। অংশ নিলেন কয়েকশো মানুষ। শনিবার ছিল রেডপান্ডা ডে। ওইদিন শুরু হওয়া হাইকিংয়ের নামও দেওয়া হয় ‘রেডপান্ডা হাইক’। দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ পুজোর আগে হাইকিং চালু নিয়ে পর্যটন শিল্পের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ভাল খবর বলে জানিয়েছেন। আপাতত সীমিত রুটে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রুটের সংখ্যা বৃদ্ধি করার দিকে তাঁদের নজর থাকবে বলে জানান জিটিএর অ্যাডভেঞ্চার টুরিজমের কো-অর্ডিনেটর দাওয়া শেরপা।
বর্ষার সময় বাদ দিলে সাধারণত সারা বছরই ট্রেকিংয়ের জন্য ভিড় লেগে থাকে দার্জিলিংয়ে। কিন্তু হাইকিং প্রিয় পর্যটকরা বেছে নেন বেছে নেন নেপাল বা সুদূর পেরু বা নিউজিল্যান্ড অথবা আইসল্যান্ড। এবার থেকে তাঁরাও হাইকিংয়ের টানে শৈলরানিতে ছুটে আসবেন বলে আশাবাদী পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ।
জানা গিয়েছে হাইকিংয়ের জন্য ১৬টি রুট বেছে নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হল কালিম্পংয়ের লেপচা ট্রেল, রিমবিকের ব্লাক ফরেস্ট. কার্সিয়াংয়ের হোয়াইট অর্কিড ট্রেল, ধর্তের টাঙলু, মংপুর সিঙ্কোনা হাইক, টাইগার হিল ট্রেল। অর্থাৎ হাইকিংকে পাহাড়ের সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া পর্যটকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে। জিটিএর এক্সিকিউটিভ সভাসদ (পর্যটন) নরদেন শেরপা বলছেন, ‘শুধু দার্জিলিং শহরে এখন পর্যটকরা আসেন না। অফবিট ডেস্টিনেশন এখন বেশি পছন্দ পর্যটকদের। তাই রুটগুলির ক্ষেত্রেও পর্যটকদের পছন্দকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’
পাহাড়ি পর্যটনের সঙ্গে ট্রেকিংয়ের পরিচিতি দীর্ঘ বছরের। কিন্তু দার্জিলিংয়ে অচেনা হাইকিং। ফলে হাইকিং কী, তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন রয়েছে। আসলে ট্রেকিং হচ্ছে দীর্ঘপথ। যাতে অংশ নিতে পারেন শারীরিকভাবে যাঁরা ফিট, তাঁরাই। হাইকিং ছোট রুট। যা অনায়াসে হেটে যাওয়া যায়। একটু সুস্থ থাকলেই অংশ নেওয়া যায়। যে কারণে দার্জিলিংয়ে হাইকিং না থাকায়, অনেককেরই মন খারাপ হত। এবার মন খারাপের দিন পালটে বাস্তবেই দার্জিলিং হাসছে।