কোথাও বেড়াতে যাবেন, কিংবা কোনও অনুষ্ঠান আছে, হঠাৎ দেখলেন মুখে ব্রণ। সেক্ষেত্রে পুরো মেজাজটাই বিগড়ে যায়। যদিও সুষম খাবার খেলে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করলে বাড়ালে ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে এটি অনেক সময় সাপেক্ষ।
ব্রণ ত্বকের এমন একটি সমস্যা, যা খুবই সাধারণ এবং সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে বেশিরভাগ মানুষের হয়। এর কারণ হরমোনের পরিবর্তন, মানসিক চাপ বা কখনও কখনও জিন। তবে কখনও কখনও কুড়ি বছরের শেষের দিকে এবং তার পরেও দেখা দেয়। যার বিভিন্ন কারণ রয়েছে যেমন জীবনধারা, ভাজাভুজি খাবার, মানসিক চাপ।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মুখে ব্রণ দেখা দেয়। তবে কখনও কখনও শরীরের অন্যান্য অংশেও ব্রণ দেখা দেয়। মৃত ত্বকের কোষ এবং ব্যাকটেরিয়া আপনার ছিদ্র বন্ধ করে দিলে এগুলি হয়। আপনি যদি ব্রণর সমস্যার সম্মুখীন হন এবং এর জন্য ঘরোয়া প্রতিকার খুঁজছেন, তাহলে রইল কিছু সহজ এবং কার্যকর টিপস।
কীভাবে এড়ানো যাবে ব্রণ?
* ফোনে কথা বলার সময় ইয়ারফোন বা হ্যান্ডস-ফ্রি ব্যবহার করুন এবং ফোনটি আপনার মুখের কাছে রেখে কথা বলা এড়িয়ে চলুন, কারণ ফোনে প্রায়শই ব্যাকটেরিয়া থাকে যা সরাসরি মুখে স্থানান্তরিত হতে পারে এবং ব্রণ বাড়াতে পারে।
* সর্বদা আপনার চুল বেঁধে রাখুন, বিশেষ করে যখন আপনার ত্বক তৈলাক্ত হয়, যাতে তেল এবং ময়লা সরাসরি আপনার মুখ স্পর্শ না করে।
* চশমার লেন্সগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিষ্কার করুন। কারণ ঘাম, ধুলো এবং মুখের তেল জমা হতে পারে এবং ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও, শরীর এবং মুখের জন্য আলাদা তোয়ালে ব্যবহার করুন যাতে ব্যাকটেরিয়া এবং তেল আপনার মুখে স্থানান্তরিত না হয়।
* বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতি তিন দিন অন্তর বালিশের কভার পরিবর্তন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যাতে এতে জমে থাকা ময়লা এবং ব্যাকটেরিয়া ব্রণ বৃদ্ধি না করে।
* আপনার রোজকার স্কিনকেয়ার রুটিনে ক্লিনজার, ময়েশ্চারাইজার এবং সানস্ক্রিন অন্তর্ভুক্ত করুন। এই তিনটি ধাপ আপনার ত্বকের স্বাস্থ্যের ভিত্তি এবং নিয়মিত ব্যবহার করা উচিত।
* এছাড়াও, ত্বক পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল রাখতে দিনের বেলায় নিয়াসিনামাইড, ভিটামিন সি, বা হায়ালুরোনিক অ্যাসিডের মতো সক্রিয় উপাদান এবং রাতে রেটিনয়েড, কোজিক অ্যাসিড বা গ্লাইকোলিক অ্যাসিডের মতো সক্রিয় উপাদান অন্তর্ভুক্ত করুন।