বর্তমান সময় বিপুল সংখ্যক মানুষ নিরামিষ এবং উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাবার খেতে শুরু করেছে। তারা তাদের খাদ্যতালিকা থেকে দুগ্ধজাত বা প্রাণীজ পণ্য বাদ দিচ্ছে। এই কারণে, সয়া, ওটস, আমন্ড দুধ ইত্যাধির ব্যবহার বেড়েছে। বিশেষ করে যাদের ল্যাকটোজে সমস্যা আছে, তারা আমন্ড দুধ খাচ্ছেন অনেকটাই। তবে, অনেকেই প্রক্রিয়াজাত আমন্ড দুধ কেনার পরিবর্তে বাড়িতে তৈরি করতে পছন্দ করেন। জেনে নিন এই আমন্ড দুধের উপকারিতা কী কী।
কম ক্যালোরি এবং কম কার্বোহাইড্রেট
গরু বা মহিষের দুধের বিপরীতে, আমন্ড দুধ রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব ভাল। এছাড়াও, এটি সারা দিন শরীরে শক্তির মাত্রা বজায় রাখে। যেহেতু এটি কম ক্যালোরি, কম চর্বি এবং কম চিনিযুক্ত, তাই যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান এবং চিনি গ্রহণের দিকে নজর রাখতে চান তাদের জন্য এটি একটি ভাল বিকল্প।
ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতার জন্য উপকারী
যাদের ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা আছে তাদের জন্য আমন্ড দুধ খুবই স্বাস্থ্যকর বিকল্প। ল্যাকটোজ অসহিষ্ণু ব্যক্তিদের মধ্যে দুগ্ধজাত পণ্য খেলে পেট ফাঁপা, ব্যথা এবং অনেক হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আমন্ড দুধ, উদ্ভিদ-ভিত্তিক হওয়ায় এটি ল্যাকটোজ-মুক্ত। ফলে ল্যাকটোজ বা দুগ্ধজাত দ্রব্য এড়িয়ে চলা মানুষদের জন্য এটি একটি নিরাপদ বিকল্প।
আমন্ড দুধ ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ
ক্যালসিয়াম হাড়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি হাড়কে শক্তিশালী করে এবং অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। এই দুধ ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। ফলে যারা দুগ্ধজাত দ্রব্য গ্রহণ করেন না, তাদের জন্য ক্যালসিয়ামের একটি ভাল উৎস করে তোলে। এছাড়াও, ম্যাগনেসিয়াম রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক।