বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ত্বকে অনেক পরিবর্তন হয়। যেমন কোলাজেন উৎপাদন কমে যাওয়া, হরমোনের পরিবর্তন ইত্যাদি। এছাড়াও সূর্যালোক এবং দূষণের মতো পরিবেশগত কারণগুলিও ত্বকের পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আপনি যদি চান যে, বার্ধক্য এবং পরিবেশের প্রভাব আপনার ত্বকে দৃশ্যমান না হয় এবং আপনি তরুণ থাকেন, তাহলে কিছু বিষয়ের বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি।
বার্ধক্য একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া যা আমরা থামাতে পারি না। কিন্তু আপনি যদি সময়ের আগেই বৃদ্ধ হতে শুরু করেন, তাহলে এটি ভাবার বিষয়। কিছু বদঅভ্যাসের পাল্টালে সময়ের আগে বুড়িয়ে যাওয়া আটকানো সম্ভব। জানুন কী কী করবেন...
অ্যালকোহল ক্ষতিকারক
মদ্যপান আমাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এটা আমাদের শরীরকে নানাভাবে প্রভাবিত করে। এটি ত্বককে ডিহাইড্রেট করে এবং প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। যার কারণে মুখ লাল হয়ে যায় এবং ত্বকের কোষেরও ক্ষতি হয়। এই সমস্ত জিনিসগুলি আপনাকে আপনার বয়সের চেয়ে বয়স্ক দেখায়।
স্ক্রিন ত্বকের জন্য ক্ষতিকর
বর্তমান যুগে কম্পিউটার এবং মোবাইল স্ক্রিনের সামনে অনেক সময় ব্যয় করে বেশীরভাগ মানুষ। যা ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য খুব একটা ভাল নয়। কাজের জন্য কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয় না। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়াতে সময় কমিয়ে, এই ডিভাইসগুলি থেকে নির্গত ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করা সম্ভব।
ডিহাইড্রেশন
পর্যাপ্ত জল পান না করার ফলে ক্লান্তি, কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, বারবার অসুস্থ হওয়া ইত্যাদি নানা সমস্যা দেখা দেয়। জলের অভাবে শুষ্কতা, বলিরেখা এবং ডার্ক সার্কেলের মতো সমস্যাও দেখা দেয়। এই কয়েকটি কারণে আপনাকে বয়সের চেয়ে বড় দেখায়।
ডায়েটে চিনি
কোলাজেন এবং ইলাস্টিন হল দুটি প্রধান যৌগ যা ত্বককে টানটান এবং তরুণ রাখে। অনেক গবেষণায় এটি প্রকাশ পেয়েছে যে, অতিরিক্ত চিনি উভয়েরই ক্ষতি করে এবং শরীরের প্রাকৃতিক কোষ মেরামত প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে।
ধূমপান ত্যাগ
তামাকের মধ্যে অনেক বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে যা, ত্বকে উপস্থিত অক্সিজেন এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকে হ্রাস করে। ধূমপান আমাদের ত্বকের নতুন কোষ তৈরির ক্ষমতাকে বাধা দেয় এবং তাই অকালে বয়স্ক দেখায়।
পর্যাপ্ত ঘুম
ঘুমের সময় আমাদের শরীর কোষ মেরামত করে এবং শক্তি পুনরুদ্ধার করে। সেজন্যে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া শুধুমাত্র শরীরে নয়, আমাদের ত্বকেও খুব খারাপ প্রভাব ফেলে।
**এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত পরামর্শগুলি সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে। তাই কোনও চিকিৎসা/ঔষধ/খাদ্য প্রয়োগ করার আগে, একজন চিকিৎসক বা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।