বয়স বৃদ্ধির প্রভাব প্রথমে মুখে দেখা যায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখের উজ্জ্বলতা কমে যায় এবং বলিরেখা এবং সূক্ষ্ম রেখা দেখা দিতে শুরু করে। অনেকেই মুখে বয়সের ছাপ এড়াতে দামি ক্রিম এবং চিকিৎসার আশ্রয় নেন। কিন্তু ত্বকের আসল উজ্জ্বলতা তখনই আসে যখন, আপনি আপনার খাদ্যাভ্যাসের সঠিক যত্ন নেন। যদি আপনি চান ত্বক দীর্ঘ সময় ধরে তরুণ এবং সুন্দর থাকুক, তাহলে খাদ্যাভ্যাসের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। কারণ আসল উজ্জ্বলতা বাইরে থেকে আসে না, বরং ভেতর থেকে আসে। জেনে নিন এমন কিছু খাবার সম্পর্কে যা বলিরেখা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন থাকে, যা শরীরে প্রবেশ করলে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। ভিটামিন এ ত্বক মেরামত করতে সাহায্য করে এবং এটিকে নরম এবং উজ্জ্বল রাখে। শুধু তাই নয়, মিষ্টি আলু ত্বককে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকেও রক্ষা করে, যা বলিরেখা এবং সূক্ষ্ম রেখার প্রধান কারণ। আপনি এটি সেদ্ধ করে স্যালাডে যোগ করতে পারেন অথবা হালকা মশলা যোগ করে চাটের মতো খেতে পারেন।
দেশি ঘি
দেশি গরুর ঘি কেবল শরীরকে সুস্থ রাখে না, এটি আমাদের ত্বকেরও যত্ন নেয়। এটি আপনার শরীরকে ভিটামিন এ এবং ই এর মতো ত্বক-বান্ধব পুষ্টি শোষণ করতে সাহায্য করে এবং শরীরে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায়। কোলাজেন ত্বককে টানটান রাখে এবং বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। আপনার প্রতিদিনের খাবারে সামান্য ঘি খুবই উপকারী।
আমলকী
আমলকী ভিটামিন সি এর ভাণ্ডার যা শরীরের কোলাজেন তৈরির জন্য প্রয়োজন। শরীরে কোলাজেন যত শক্তিশালী হবে, বলিরেখা এবং সূক্ষ্ম রেখা তত কম হবে। আপনি এটি কাঁচা খেতে পারেন, রস আকারে খেতে পারেন অথবা এর চাটনি তৈরি করতে পারেন।
কুমড়োর বীজ
কুমড়োর বীজ দেখতে ছোট হতে পারে কিন্তু এগুলি পুষ্টির ভাণ্ডার। এগুলি জিঙ্ক, ভিটামিন ই এবং উদ্ভিদ প্রোটিন সমৃদ্ধ যা ত্বক মেরামত করে এবং ত্বকের বাধাকে শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এগুলি কোলাজেন তৈরিতেও সাহায্য করে। আপনি এগুলি পোহা, উপমা বা স্যালাডে মিশিয়ে খেতে পারেন।