৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা যাবে না বলে আগেই শেখ হাসিনা সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। যার জন্য প্রতিবেশী দেশ ভারতকে কথা দিয়েও ইলিশ দেয়নি বাংলাদেশ। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, তাহলে কথা দেওয়া হল কেন ? তবু সে প্রশ্ন আলাদা। কিন্তু সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও চোরাপথে ইলিশ আসা শুরু করেছে পরদিন থেকেই।
চোরাচালানেই লক্ষ্মীলাভ
একবার ইলিশের স্বাদ পেয়ে যাওয়ার পর এ রাজ্যের মানুষ ইলিশ থেকে বঞ্চিত হতে চাইছিলেন না। তাই তাঁদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে দুই বাংলার চোরাচালানকারীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ থেকে এক শ্রেণির মৎস্যজীবী ঝাঁপিয়ে পড়েন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুজোর মরশুমে ইলিশ পৌঁছে দিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিয়েছেন। কর দিতে হবে না, তাই অধিক মুনাফা। কারণ চোরাপথে এলেও, খোলাবাজারে একই দামে বিকোচ্ছে চোরাই ইলিশও। আর এক বার খুচরো বাজারে এসে গেলে কারও বোঝা সম্ভব নয়, চোরাই কি না।
মৎস্যজীবীদের কিছুতেই আটকানো যাচ্ছে না
মৎস্যজীবীদের কিছুতেই আটকানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। দু’দিন আগেই শতাধিক মৎস্যজীবীকে আটক করেছিল সেখানকার পুলিশ। এখন ইলিশের প্রজননের সময়। তাই ধরা যাবে না বলে ফরমান জারি করা হয়েছিল। এবার ফের বাংলাদেশের ভোলা থেকে আটক করা হল মৎস্যজীবীদের। ৪৪ জন মৎস্যজীবীকে আইন অমান্য করে ইলিশ ধরায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
নিয়ম ভেঙে ইলিশ ধরায় ৪৪ জনকে আটক
ওই জেলার এক মৎস্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘মা ইলিশের প্রজননের সময় এখন। তাই ২২ দিন বাংলাদেশের ৩৮টি নদীতে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে নেমেছিলেন। তাই ৪৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৩ জনের ৮৩ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।’
ইলিশ ধরা বন্ধ হচ্ছে না, উদ্বেগে বাংলাদেশ
১০ অক্টোবর নিয়ম ভেঙে প্রজননের মরশুমে ইলিশ মাছ ধরায় ২৭ জন মৎস্যজীবীকে ১ বছরের কারাদণ্ডে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তার আগে শনিবার বাংলাদেশের মাদারিপুরের শিবচরে নিয়ম ভেঙে মাছ ধরার সময় ৩০ জনকে গ্রেফতার করেছিল সে দেশের পুলিশ ও নৌবাহিনী। তবু ইলিশ ধরা বন্ধ হচ্ছে না। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন সেদেশের সরকার।
সেনা ও পুলিশ, নদীর পার বরাবর নজরদারিতে
মৎস্য দপ্তরের তরফে জানা গিয়েছে, নজরদারির জন্য নদীর ৭,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। দিনে, রাতে ২৪ ঘণ্টাই চলছে টহল। নদীতে যেন কার্ফু চলছে। ইলিশ না ধরার জন্য প্রচারও চালাচ্ছেন তাঁরা।