বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন জীবনের একটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী। ছোটবড় বিভিন্ন কাজে বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা থাকে স্মার্টফোনের। কারণ এর আধুনিক ফিচার্স থেকে বেশকিছু সুবিধাও পাওয়া যায়। ব্যাঙ্কের কাজ থেকে শপিং, সবই সেরে ফেল যায় স্মার্টফোনের এক ক্লিকেই। তবে এই স্মার্টফোন শরীরে অনেক খারাপ প্রভাবও ফেলে। বর্তমানে শিশু থেকে বয়স্ক, সকলকেই স্মার্টফোনে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। যার জেরে দেহে বাসা বাঁধতে পারে বিভিন্ন রোগ ব্যাধী। তাই যদি আপনি সেলফোন থেকে ব্রেক নিতে চান তাহলে এই প্রতিবেদনে এমন কিছু বিষয় পাবেন যা জানলে আপনি দ্রুত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কারণ মোবাইল খুব বেশি ব্যবহার করলে কী হতে পারে, সেই বিষয়েই আলোচনা করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।
চোখের ক্ষতি - চোখ শরীরের অন্যতম সংবেদনশীল অংশ। লাগাতার মোবাইলের ব্যবহার চোখে প্রভাব ফেলে। কখনও কখনও আমরা সেটা বুঝতে না পারলেও এটি চোখের ক্ষতি করে। ফোনের নীলরঙের স্ক্রিন চোখে খুবই প্রভাব ফেলে। যার জেরে মাথা ব্যাথা, চোখে ব্যাথা, এমনকি চোখ শুষ্ক পর্যন্ত হয়ে যায়। তাই লাগাতার সেলফোন ব্যবহারের সময় মাঝে মধ্যে ব্রেক নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।
কব্জিতে ব্যাথা - এমন অনেক জিনিস রয়েছে যার বেশি ব্যবহার অত্যন্ত ক্ষতিকর। তারমধ্যে যদি সেটি ইলেট্রনিক দ্রব্য হয় তাহলে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে কব্জিতে অসাড়তা এবং ব্যাথা হতে পারে। এছাড়া দেখা দিতে পারে আরও সমস্যা যা পরবর্তীকালে কারপাল টানেল এবং সেলফি কব্জির দিকে মোড় নিতে পারে।
হতে পারে ব্রণ - আপনি কি জানেন যে ফোনের ক্ষতিকারর রশ্মি কারণে ব্রেকআউট হতে পারে? একধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে মোবাইলে জীবাণু এবং ব্যাকটেরিয়া থাকে যা ত্বকে প্রবেশ করতে পারে। যার জেরে হতে পারে যা ব্রেকআউট এবং দাগ। এটি অকাল বার্ধক্যের কারণও হতে পারে। তাই মোবাইল প্রতিদিন ওয়াইপ দিয়ে পরিষ্কারও করা উচিত।
বিঘ্নিত হয় স্লিপিং প্যাটার্ন - ঘুম আমাদের জীবনযাত্রার সবচেয়ে প্রয়োজনীয় অংশ এবং প্রতিটি ব্যক্তির ভাল ঘুম প্রয়োজন। গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল ব্যবহার করলে ঘুমের সময় কমে যায়। যার কারণে দিনে ঘুম পাওয়ার পাশাপাশি শরীরও ফ্রেশ লাগে না। মোবাইলের অত্যধিক ব্যবহার অনেক সময় অনিদ্রার কারণ হতে পারে।
মানসিক চাপ বাড়তে পারে - স্ট্রেস খুব স্বাভাবিক একটি বিষয়। তবে অনেক সময় সেল ফোন থেকে স্ট্রেস আসে, আর তা আসতে পারে বিভিন্ন কারণে। যেমন ইন্টারনেটে কিছু পড়া, দীর্ঘক্ষণ ফোন ব্যবহার করা বা ঘুমের অভাব। আর এগুলি পরবর্তীতে গুরুতর অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন - জলের নিচে তৈরি বিশ্বের এই ৮ হোটেল, চারপাশে ঘুরে বেড়ায় ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ