আধুনিক ব্যস্ত জীবনে সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজন সঠিক খাদ্যাভ্যাস। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যদি আপনি মাত্র একটি আখরোট যোগ করেন, তবে সেটি হতে পারে একটি অসাধারণ স্বাস্থ্য উপহার। আখরোট শুধু সুস্বাদু নয়, এটি ভরপুর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং শরীরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সক্রিয় ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
হৃদপিণ্ডের জন্য রক্ষাকবচ
আখরোটে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের এক গুরুত্বপূর্ণ রূপ, আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড (ALA), যা রক্তনালিতে চর্বি জমা প্রতিরোধ করে ও হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই বাদামটি খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়ক।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ও স্মৃতিশক্তি উন্নত করে
আখরোটকে ‘ব্রেইন ফুড’ বলা হয়। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা মস্তিষ্কের কোষকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে। সেই সঙ্গে ওমেগা-৩ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা, মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
প্রতিদিন একটি আখরোট ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। এতে থাকা ফাইবার শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তে শর্করা দূর করতে সহায়তা করে। এটি ইনসুলিনের কার্যকারিতাও বাড়ায় বলে মনে করা হয়।
প্রদাহ কমায়
আখরোটে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের প্রদাহ-বিরোধী গুণ রয়েছে। এটি শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রদাহ হ্রাস করে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে
যাঁরা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাঁদের জন্য আখরোট হতে পারে উপযুক্ত সঙ্গী। এতে থাকা প্রোটিন ও ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরার অনুভূতি দেয়, ফলে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
হজমশক্তি বাড়ায়
আখরোটে থাকা উচ্চমাত্রার ফাইবার হজম ব্যবস্থাকে মজবুত করে তোলে। এটি সহজে হজম হয় এবং অন্ত্রের কার্যক্ষমতা উন্নত করে।
ভিজিয়ে খেলে উপকারিতা বাড়ে
আখরোট ভিজিয়ে খেলে এর পুষ্টিগুণ আরও সহজে শরীরে শোষিত হয় এবং এটি পাচনতন্ত্রের ওপর চাপ কমায়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রতিদিন সকালে ভিজানো একটি আখরোট খাওয়া অভ্যাস করলে দীর্ঘমেয়াদে দারুণ উপকার পাওয়া যায়।