দুর্গাপুজো সহ সামনেই পরপর বেশ কিছু পুজো রয়েছে। আর পুজো মানেই খিচুড়ি ভোগ তো মাস্ট। কিন্তু সকলের হাতে এই ভোগের খিচুড়ি ঠিক খোলে না। কিছু না কিছু মিসিং থাকেই। তাই পুজোর আগেই শিখে নিন ভোগের খিচুড়ি রান্নার রেসিপি। আর এই রেসিপি অনুসরণ করলেই আপনি পাবেন এক্কেবারে ভোগের সেই সুগন্ধওয়ালা খিচুড়ি।
উপকরণ
১৫০ গ্রাম গোবিন্দভোগ চাল, ২০০ গ্রাম সোনা মুগ ডাল, আলু, ফুলকপি, টমেটো, আদা বাটা, কাজুবাদাম, কিশমিশ, নারকেলের টুকরো, নারকেলের পেস্ট, মটরশুঁটি, হলুদ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, লাল ঙ্কার গুঁড়ো, নুন, চিনি, গরম মশলা, ঘি, সর্ষের তেল, শুকনো লঙ্কা, গোটা গরম মশলা, গোটা জিরে, তেজপাতা।
পদ্ধতি
গোবিন্দভোগ চালও ধুয়ে নিন। ফুলকপি নুন এবং হলুদ গুঁড়ো দিয়ে ম্যারিনেট করুন। আলু খোসা ছাড়ুন, কেটে নিন এবং ভিজিয়ে রাখুন।
টমেটো কেটে নিন ও সবুজ লঙ্কা কেটে নিন। সব গুঁড়ো মশলার পেস্ট তৈরি করুন। কাজুবাদাম ও কিশমিশ ভেজে নিন। নারকেলের টুকরো ভেজে নিন।
ম্যারিনেট করা আলু ও ফুলকপিও ভেজে নিন। এবার হাঁড়িতে গরম জল বসান গোটা গরম মশলা দিয়ে। অন্যদিকে কড়াইতে সর্ষের তেল দিয়ে গোটা গরম মশলা, শুকনো লঙ্কা ও তেজপাতা ফোড়ন দিন।
এতে দিন কাটা টমেটো এবং আদা পেস্ট। এবার ভাজা কাজুবাদাম, কিশমিশ এবং ভাজা নারকেলের টুকরো দিয়ে রান্না করুন। ভাজা হয়ে গেলে ভাজা আলুও দিন।
এবার ভাজা ফুলকপি দিয়ে রান্না করুন। মশলার পেস্ট যোগ করুন এবং রান্না করুন। মটরশুঁটি যোগ দিন। পাশাপাশি নারকেল পেস্ট যোগ করুন এবং নাড়াতে থাকুন।
এতে মুগ ডাল দিন। ভেজানো গোবিন্দভোগ চালও যোগ করুন। এবার এই মুগডাল ও চাল ওই গরম জলে দিন। খিচুড়ি ফুটতে শুরু করলে এতে কাঁচালঙ্কা দিন। জল মোটামুটি কমে আসলে ও চাল-ডাল সেদ্ধ হয়ে এলে ঘি ও গরম মশলা দিয়ে নামিয়ে নিন ভোগের খিচুড়ি।