বাঙালির হেঁশেলে দারুণ পরিচিত এক রান্না হল লাউ চিংড়ি। পাতে এই পদ পড়লে আর কোনও কিছুর দরকারই পড়ে না। গরমকালে লাউ চিংড়ি সব বাড়িতেই হয়ে থাকে। এই বাঙালিয়ানা খাবারের স্বাদ একেবারে অন্যরকম হয়। তবে লাউ চিংড়ি শুধু স্বাদেই নয়, এই পদটি শরীরের জন্য ভীষণভাবে উপকারি। কম মশলায় তৈরি হওয়া এই লাউ চিংড়ি পেট ও শরীরের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর। আসুন তাহলে জেনে নিই এই লাউ চিংড়ি খেলে কী কী উপকর পাওয়া যায়।
লাউয়ের উপকারিতা
-লাউয়ের মধ্যে কোলন নামের এক ধরনের নিউরো ট্রান্সমিটার রয়েছে। যা শরীরে স্ট্রেস লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখে। যে কারণে বিভিন্ন মানসিক সমস্যাও দূরে থাকে। যাঁদের মধ্যে রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তাঁরাও রোজ খান লাউ। লাউয়ের মধ্যে যে পটাশিয়াম থাকে তাই আমাদের রক্তচাপ মাত্রার মধ্যে রাখে। এছাড়াও লাউ এর রস ওজন কমাতেও কিন্তু সাহায্য করে। লাউয়ের মধ্যে থাকে ফাইবার। যা আমাদের অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে। যে কারণে অনেকক্ষণ খিদে পায় না। পরিমিত খাবার খেলেই কমবে ওজন।
-বহুদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে রোজ পাতে রাখুন লাউ। লাউ দিয়ে ডাল খান। এতে শরীর ঠান্ডা থাকবে। হজম হবে। আর গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও আসবে না। ত্বকের জন্যও উপকারী এই লাউ। ত্বককে শুষ্কতার হাত থেকে রক্ষা করে। ৭ দিন টানা লাউ খেতে পারলেই মুখের জেল্লা ফেরে। এমনকী ব্রণ বা দাগছোপের সমস্যাও কিন্তু থাকে না।
চিংড়ির উপকারিতা
-লাউয়ের পাশাপাশি চিংড়িও স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। অ্যালার্জি যদি না থাকে তবে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য চিংড়ি মাছ খুব ভাল। শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ চিংড়ি সহ ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত একাধিক সামুদ্রিক মাছ ও প্রাণী থেকে পাওয়া যায়। ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড প্রসব সংক্রান্ত ঝুঁকি কম করতে দারুণ কার্যকরী। মেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিডের কারমে গর্ভস্থ শিশুর স্বাস্থ্য ভালো থাকে। হবু মায়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রয়োজনীয় প্রোটিং, ভিটামিন B-2 এবং ভিটামিন D প্লাস পাওয়া যায় চিংড়ি সহ বেশকিছু , সামুদ্রিক মাছ ও প্রাণী থেকে।
-চিংড়িতে থাকে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম। হবু মা এবং সন্তানের শরীরে রক্ত চলাচল ভালো করতে সাহায্য করে। শরীরের আয়রনের ঘাটতির ফলে অ্যানিমিয়া জাতীয় কোনও সমস্যা দেখা দেয় না। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে তবেই খাওয়া উচিত চিংড়ি।