বাঙালি খেতে ভালোবাসলেও এমন অনেক খাবার রয়েছে, যার স্বাদ বাঙালির জিভ পর্যন্ত পৌঁছায়নি। পুরনো দিনে অর্থাৎ দিদা-ঠাকুরমাদের হেঁশেলে এইসব হারিয়ে যাওয়া বহু পদই রান্না হত। আর মা-ঠাকুরমাদের নিজের হাতে তৈরি মিষ্টির কথা নতুন করে কী আর বলব। যদিও নতুন প্রজন্মের কাছে সেইসব হারিয়ে যাওয়া মিষ্টির স্বাদ তো দূরের কথা, নামই হয়তো শোনেননি। এরকমই একটি মিঠাই হল গঙ্গাজলি নাড়ু। এর আরেক নাম পদ্মচিনিও। দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে এই নাড়ু বানানো হত। পূর্ববঙ্গে, বিশেষ করে বিক্রমপুর, ফরিদপুর এবং বরিশাল অঞ্চলে এই মিষ্টির প্রাধান্য ছিল। আসুন শিখে নিন সেই নাড়ুর রেসিপি।
উপাদান
নারকেল বাটা, চিনি, জল, ছোট এলাচ, ৪টে কর্পূর। এই সামান্য উপকরণেই তৈরি হবে গঙ্গাজলি নাড়ু।
পদ্ধতি
নারকেল প্রথমে জলে বেশ কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখতে হবে যাতে কোড়ানোর সময় নারকেল মালার খয়েরী রঙের গোঁফ ধবধবে সাদা নারকেল কোড়ার সঙ্গে না মিশে যায়। এরপর নারকেলের সাদা অংশটা ছাড়িয়ে বেটে নিতে হবে।
এবার একেবারে ধীমে আঁচে চিনি ও জল দিয়ে তাতে আধ থেঁতো এলাচ দিতে হবে।
এবার চিনির রস গাঢ় হলে এলাচগুলো তুলে তাতে ধীরে ধীরে নারকেল বাটা দিয়ে নেড়ে নারকেলের সঙ্গে রস একেবারে মিশিয়ে দিতে হবে।
লক্ষ্য রাখতে হবে যেন নারকেল লাল না হয়। এবার এক চিমটে কর্পূর মিশিয়ে একটা বড় থালায় ঢেলে ঠান্ডা করতে হবে। আগুনের কম তাপে নারকেলের ধবধবে সাদা রং গঙ্গাজলের রূপ নেয়। সেই থেকেই এর এই নাম।
এরপর শিলে বা মিক্সিতে বেটে গুঁড়ো পাউডারের মতো হলেই তৈরী গঙ্গাজলি। প্রাথমিকভাবে এইভাবে থাকলেও পরবর্তীকালে সন্দেশের আকার দেওয়া হয়।