ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির সমস্যা সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই অনেক কিছু শুনেছেন। আজকাল এই সমস্যাটি বিপুল সংখ্যক মানুষকে প্রভাবিত করছে। প্রথমত, ইউরিক অ্যাসিড কী তা বোঝা দরকার। ইউরিক অ্যাসিড আমাদের লিভারে তৈরি একটি বর্জ্য পদার্থ, যা কিডনি দিয়ে যায় এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। ইউরিক অ্যাসিড আমাদের শরীরের জন্য একটি অপরিহার্য পদার্থ, তবে এটি স্বাভাবিক থাকা উচিত। যখন এর মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়ে যায়, তখন গাউট এবং কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এমতাবস্থায়, এটি নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন, যাতে কোনও ধরনের জটিলতা সৃষ্টি না হয়।
ভাল খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমেও ইউরিক অ্যাসিড অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যদি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়, তবে কিছু ফল খাওয়া অত্যন্ত উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। সাইট্রাস ফল সাধারণত এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সেরা হিসাবে বিবেচিত হয়। ফলের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক উপাদান, যা শরীরে পৌঁছে রোগ থেকে মুক্তি দেয় এবং উন্নত স্বাস্থ্য বজায় রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সব মানুষকেই তাদের খাদ্যতালিকায় কিছু ফল অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যাতে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়।
আরও পড়ুন: High Blood Sugar in Morning: সকালে ঘুম ভাঙতেই সুগার লেভেল হাই? রাতে যে ভুলগুলিতে বিপদ...
কমলা লেবু, আনারস, স্ট্রবেরি, অ্যাভোকাডো এবং চেরি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য সেরা বলে বিবেচিত হয়। কমলা, আনারস এবং স্ট্রবেরি ভিটামিন সি-এর চমৎকার উৎস হিসেবে পরিচিত, যা আপনার ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমায়। এছাড়াও গাউট আক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন ই রয়েছে, সেইসঙ্গে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা গাউট ফ্লেয়ার-আপ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও, চেরিতে রয়েছে অ্যান্থোসায়ানিন পিগমেন্ট, যা একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি শরীরের প্রদাহ কমিয়ে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
এই সহজ পদ্ধতিগুলিও অনুসরণ করুন
আমিষ থেকে দূরে থাকুন
হাই প্রোটিন খাবার খাবেন না
প্রতিদিন প্রচুর জল খান
স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণ করুন
প্রতিদিন ব্যায়াম করো
স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে থাকুন নিয়মিত