Advertisement

Best Momos Restaurant In Kolkata: মোমো যেখানে সেখানে কেন খাচ্ছেন? কলকাতার সেরা দোকানগুলির হদিশ রইল

মোমোর (Momo) একটা আলাদা ভূমিকা দেওয়া দরকার। এটি সম্ভবত ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবারগুলির মধ্যে একটি। ভারতের প্রায় প্রতিটি কোণে এটি পাওয়া যায়। ভিতরে কিমা করা মাংস বা সবজির পুর দেওয়া নরম ময়দার ডেলা সেদ্ধ, এটাই মোমোর সুস্বাদুতাকে সংজ্ঞায়িত করে।

কলকাতার সেরা মোমো দোকানগুলির হদিশকলকাতার সেরা মোমো দোকানগুলির হদিশ
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 12 Jan 2023,
  • अपडेटेड 1:00 PM IST
  • মোমো এসেছে 'মোম' শব্দ থেকে, যার অর্থ স্টিম করা
  • ভারতে মোমো ১৯৬০-র দশকে জনপ্রিয়তা লাভ করে

মোমোর (Momo) একটা আলাদা ভূমিকা দেওয়া দরকার। এটি সম্ভবত ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবারগুলির মধ্যে একটি। ভারতের প্রায় প্রতিটি কোণে এটি পাওয়া যায়। ভিতরে কিমা করা মাংস বা সবজির পুর দেওয়া নরম ময়দার ডেলা সেদ্ধ, এটাই মোমোর সুস্বাদুতাকে সংজ্ঞায়িত করে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে এই সুস্বাদু খাবারটির শিকড় ভারতে নেই। মোমো এসেছে 'মোম' শব্দ থেকে, যার অর্থ স্টিম করা। নেপালে মোমোর ইতিহাস (History Of Momo) ১৪ শতকের। এটি প্রথমে কাঠমান্ডু উপত্যকার একটি নেওয়ারি খাবার ছিল। এরপর এটি তিব্বত, চিন এবং অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে এক রাজকুমারীর হাত ধরে। একজন নেপালি রাজকুমারী ১৫ শতকের শেষের দিকে একজন তিব্বতি রাজাকে বিয়ে করেন। ভারতে মোমো ১৯৬০-র দশকে জনপ্রিয়তা লাভ করে। যখন তিব্বতিয়রা ভারতে প্রবেশ করেন। অনেকের আবার দাবি যে কাঠমান্ডুর নেওয়ারি বণিকদের হাত ধরেই ভারতে মোমো এসেছিল।

ইতিহাস যাই হোক না কেন, আজ মোমো দেশের খাদ্য সংস্কৃতিকে সংজ্ঞায়িত করার ক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। এখন সেদ্ধ ছাডা়ও অনেক ধরনের মোমো (Different Types Of Momo) পাওয়া যায়। তার মধ্যে রয়েছে-স্টিমড মোমো, চিলি মোমো, ফ্রাই, স্টিম-ফ্রাই মোমো, স্যুপ মোমো, তন্দুরি মোমো, গ্রিন মোমো, ইত্যাদি। আমরা আপনাদের জন্য কলকাতায় কয়েকটি জায়গার (Best Momos Restaurant in Kolkata) খোঁজ নিয়ে এসেছি। যেখানে মোমোর স্বাদ আপনার চিরকাল মুখে লেগে থাকতে পারে। তাই দেরি না করে আজই ঢুঁ মারুন এই রেস্তরাঁগুলিতে।

আরও পড়ুন

Wow! Momo: এই ফুড চেনটি দার্জিলিং মোমো বিক্রি চালু করেছে। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় এদের আউটলেট রয়েছে। মোমোর ভিতরে সবজি ও চিকেনের কিমার পুর দেওয়া থাকে। মশলাদার লাল সসের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করা হয়। এখানে ভেজ মোমোর প্লেট ৯৯ টাকা। আর চিকেন মোমোর এক প্লেটের জন্য দাম ১০৯ টাকা।

Advertisement

Denzong Kitchen: আপনি যদি পনির ভরা মোমো (Paneer momos) পছন্দ করেন, তাহলে আপনাকে ডেনজং কিচেনে যেতে হবে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় এদেরও আউটলেট রয়েছে। সেখানে সস্তায় পেটপুরে মোমো খেতে পারবেন। এই আউটলেটটি কলেজ পড়ুয়াদের কাছে দারুণ জনপ্রিয়। এখানকার চিকেন ফ্রাইড schzewan মোমোগুলি এতই রসালো এবং স্বাদযুক্ত যে আপনি মেনু থেকে অন্য কিছু অর্ডার করতেই ভুলে যাবেন। তারা যে মোমো পরিবেশন করে তা আকারে বেশ বড়, পরিমাণেও বেশি।

Momo I Am: এই আউটলেটটি তিব্বতি এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় খাবারের ভাণ্ডার। এখানকার মোমোর গন্ধেই জিভে জল চলে আসবে। এদের বিশেষ স্টিমড চিকেন (Chicken Momos ) বা স্টিমড পর্ক মোমো (Pork momos) খেলে চিরকাল মনে রাখবেন। এখানকার মোমো ডিপ ফ্রাই করে সসে ফেলে দেওয়া। এখানে মাশরুম, পনির মোমোও পাবেন। অবশ্যই মিস করবেন না এদের মোমোর স্যুপ (Momo Soup)। কলকাতায় এদের চারটি আউটলেট রয়েছে – লেক গার্ডেন্স, গোলপার্ক, সল্টলেক এবং রাজারহাট-চিনার পার্কে।

Tibetan Delight: এলগিন রোডের কাছে একটি সংকীর্ণ গলিতে রয়েছে এই আউটলেটটি। এই জায়গাটি এতই ঘিঞ্জি যে আপনি যদি শহরে নতুন হন তবে এটি খুঁজে পেতে খুব অসুবিধা হবে। এদের মোমো বৈচিত্র্যে ভরপুর। চিকেন, পর্ক, ভেজ (Veg Momos), ডিপ ফ্রাই বা প্যান-ফ্রাই মোমো (Pan Fried Momos) এই দোকানটিকে জনপ্রিয় করে তুলেছে। আপনি অবশ্যই এদের চিকেন কোথেয় মোমোর (একদিকে ভাজা এবং অন্য দিকে সেদ্ধ) প্রেমে পড়ে যাবেন।

Hamro Momo: কলকাতার প্রবীণ মানুষজন এই দোকানটি সম্পর্কে অবশ্যই জানবেন। এটি কলকাতার বেশ পুরনো মোমোর দোকান। খুব কম লোকই এখনও এটি সম্পর্কে জানে। কারণ এই দোকানটিও এলগিন রোডে অবস্থিত। হামরো মোমো কিছু সুস্বাদু তিব্বতি খাবারের দোকান। এটি সমস্ত মাংস-প্রেমীদের জন্য একটি স্বর্গ, বিশেষ করে যারা পর্ক পছন্দ করেন। এই দোকানের মোমো রসালো, নিজেদের তৈরি স্যুপের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। আপনি যদি স্যুপ-প্রেমী হন, তবে এই জায়গায় কিছু সুস্বাদু বিভিন্ন ধরণের স্যুপ রয়েছে। যা মুখে লেগে থাকবে বহুদিন।

Momo Plaza: এই দোকানটিও এলগিন রোডে অবস্থিত। এই দোকানে কলেজ পড়ুয়াদের ভিড় সব সময় লেগেই থাকে। মোমো প্লাজা যুগ যুগ ধরে কলেজের ভিড়ের হটস্পট। এদের প্যান-ফ্রাই শেজওয়ান মোমো সম্ভবত শহরের সেরা এবং তারা যে গ্রেভি দেয়, তা মুখে জল আনা। জায়গাটির একটি স্বাভাবিক পরিবেশ রয়েছে এবং দাম বেশ কমই। একটি সুন্দর সন্ধ্যায় বন্ধু-বান্ধব বা পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে মোমো খেতে চলে যান। কোনটা ছেড়ে কোনটা খাবেন তা ঠিক করতে পারবেন না।

Blue Poppy-Thakali: দ্য ব্লু পপি থাকালি আউটলেটটির মালিক ডোমা ওয়াং, যিনি মূলত কালিম্পঙের বাসিন্দা। তাঁর মেয়ে সাচিকো ( Sachiko) কলকাতার 'মোমো কুইন' (Kolkata’s Momo Queen) হিসাবে পরিচিত। দ্য ব্লু পপি থাকালি আউটলেটটি মিডলটন স্ট্রিটে পাবেন। এখানকার মোমোর বৈশিষ্ট্য হল নরম তুলতুলে মোমো। মোমোর বাইরেটা খুব পাতলা হয়। এখানে চিকেন, পর্ক, ভেজ মোমো পেতে পারেন। তবে চাহিদা বেশি মাটন মোমোর। এছাড়াও এদের প্যান-ফ্রাই মোমোও খেয়ে দেখতে পারেন। পয়সা উসুল হয়ে যাবে।

Read more!
Advertisement
Advertisement