Advertisement

Best Parenting: কীভাবে বুঝবেন ছেলে- মেয়ে ভুল পথে হাঁটছে? এসব লক্ষণ দেখেই সাবধান হন বাবা- মায়েরা

Parenting Tips: সন্তানের দিকে একটি ভাল করে নজর দিলেই জানতে পারবেন, আপনার শিশু কোন মানসিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের মধ্যে এসব লক্ষণ দেখলে অভিভাবকদের সতর্ক হওয়া উচিত।

প্রতীকী ছবিপ্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 03 Apr 2025,
  • अपडेटेड 2:43 PM IST

বাবা-মায়েরা সব সময় সন্তান কী করছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বা চিন্তায় থাকে। ছেলে- মেয়ে যাতে ভুল পথে না যায়, সেদিকে তারা নজর রাখার চেষ্টা করে। অনেক সময় শিশুরা সঠিক এবং ভুলের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে অক্ষম হয়। কখনও কখনও এমন কিছু করে যা, সবার জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। সন্তানের দিকে একটি ভাল করে নজর দিলেই জানতে পারবেন, আপনার শিশু কোন মানসিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের মধ্যে এসব লক্ষণ দেখলে অভিভাবকদের সতর্ক হওয়া উচিত।

মেজাজের পরিবর্তন- মেজাজের পরিবর্তন সাধারণ কিন্তু হরমোনের কারণে বেড়ে ওঠা শিশুদের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তনগুলি বেশি দেখা যায়। আপনার সন্তান যদি হঠাৎ খুব দু:খিত বা খুব উত্তেজিত হতে শুরু করে, তাহলে তার মনোযোগ প্রয়োজন। কোনও কারণ ছাড়াই যদি শিশু ডিপ্রেশনে চলে যায়, তাহলে তা চিন্তার বিষয়। এমন পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরতে হবে। সন্তানের সঙ্গে আদর করে কথা বলে তার আচরণে পরিবর্তনের পেছনের আসল কারণ জানার চেষ্টা করুন।

আগ্রহের অভাব- প্রত্যেক শিশুর সহজে মানুষের সঙ্গে মিশতে পারে না। এর মানে এই নয় যে শিশুর কিছু সমস্যা আছে। তবে শিশু যদি কোনও কাজে আগ্রহ না থাকে, বা কোনও কাজ মাঝপথে ছেড়ে দেয়, তাহলে তা চিন্তার বিষয় হতে পারে। সে বিষণ্ণতা বা আত্মবিশ্বাসের অভাবের মতো লক্ষণ দেখাচ্ছে কিনা সেদিকে মনোযোগ দিন।

আরও পড়ুন

জিনিস লুকিয়ে রাখা- সে যদি আপনার কাছ থেকে কিছু লুকিয়ে থাকে, যদিও তা সামান্য হলেও, এই অভ্যাসই সন্দেহ তৈরি করতে যথেষ্ট। মনোযোগ না দিলে এই অভ্যাস ধীরে ধীরে বড় কিছুতে পরিণত হতে পারে। বাচ্চাদের জিনিস লুকিয়ে রাখার অভ্যাস ভবিষ্যতে বিপজ্জনক হতে পারে। এর অর্থ, শিশুটি হয় সেই অভ্যাস পছন্দ করছে বা সে আপনাকে বিশ্বাস করে না। এই দুটি বিষয়ই উদ্বেগজনক।

Advertisement

পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়া- যদি কোনও শিশু পড়াশোনায় দ্রুত পিছিয়ে পড়ে এবং স্বাভাবিকের চেয়ে কম নম্বর পায় তাহলে তার মানে কোথাও কিছু ভুল হচ্ছে। এর পেছনের কারণ হতে পারে শেখার অক্ষমতা, অলসতা, মনোযোগের অভাব বা কিছু ঘরোয়া কারণ। এটি হতাশা বা অসন্তুষ্টির লক্ষণও হতে পারে। সেক্ষেত্রে চিৎকার না করে বা শিশুর গায়ে হাত না তুলে বিষয়টির গভীরে যান।

বন্ধুদের মধ্যে আকস্মিক পরিবর্তন- নতুন বন্ধু তৈরি করা একটি ভাল ব্যাপার। কিন্তু শিশু তার পরিচিত বন্ধুদের ছেড়ে, সম্পূর্ণ নতুন মানুষের সঙ্গে আড্ডা দিতে পছন্দ করে, তখন এটি উদ্বেগের বিষয়। বাবা- মা হিসাবে, আপনার সন্তান কার সঙ্গে দেখা করছে এবং পুরনো বন্ধুদের ছেড়ে যাওয়ার কারণ কী ছিল তা জানা আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সম্পর্কের মধ্যে একটি জটিলতা আছে এবং শিশুদের অভিভাবকদের তা বুঝতে হবে। কিছু সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টায় শিশুরাও খারাপ সঙ্গে পড়ে। অতএব, সন্তানের কর্মের প্রতি মনোযোগ দিন।

ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন- বয়ঃসন্ধিকালে ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন হওয়া সাধারণ ব্যাপার কিন্তু তা পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। খুব প্রাণোচ্ছ্বল শিশু যখন হঠাৎ শান্ত হয়ে যায় বা হতাশ হতে শুরু করে, এর মানে হল যে তারা কিছু অসুবিধার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সম্ভবত শিশুটি আপনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করছে। এমন পরিস্থিতিতে তার সঙ্গে শান্তভাবে কথা বলে মনের কথা জানতে চেষ্টা করুন।

পোশাকের পরিবর্তন - নতুন লুক নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা ভাল। কিন্তু ছোট বাচ্চাদের পোশাক বাছাই করার পদ্ধতির পরিবর্তনও নিরাপত্তাহীনতার লক্ষণ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, হঠাৎ করে ঢিলেঢালা পোশাক পরার অর্থ হতে পারে তারা কিছু লুকানোর চেষ্টা করছে। বা কোনও চিহ্ন লোকানোর জন্য সব সময় ফুল হাতা জামাকাপড় পরা। এই সমস্ত বিষয়গুলি নির্দেশ করে যে শিশু তার চেহারা সম্পর্কে নিরাপত্তাহীন বোধ করে।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement