স্থূলতা এখন বড় সমস্যা। সারা বিশ্বজুড়েই ওজন বাড়ছে মানুষের। এর জন্য দায়ী খারাপ খাদ্যাভ্যাস এবং অলস জীবনযাত্রা। ওজন বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় কারণ অতিরিক্ত ফ্যাট ও ক্যালোরির খাবার খাওয়া। মাখন, তেল, পনির, ঘি ও ফাস্ট ফুড বেশি খেলে ওজন দ্রুত বাড়ে। ওজন বৃদ্ধির সর্বাধিক প্রভাব পেট, কোমর এবং উরুতে দেখা যায়। এই অঙ্গগুলিতে ফ্যাট দ্রুত জমে। অতিরিক্ত ওজনের কারণে শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগ। ক্রমবর্ধমান ওজন দীর্ঘদিন নিয়ন্ত্রণে না থাকলে ডায়াবেটিস, রক্তচাপ এবং থাইরয়েডের মতো সমস্যার ঝুঁকি থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ জরুরি। আর গরমকালে ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে আম।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, ক্রমবর্ধমান ওজন নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায় হল ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ করা। মানুষ গরমকালে ফল খাওয়ার উপর বেশি জোর দেয়। গরমে ফলের রাজা আম সাধারণ মানুষের বিশেষ পছন্দের। অনেকেই প্রচুর আম খান। জানলে অবাক হবেন, আমে থাকে প্রচুর ক্যালোরি। এই ফল এক থেকে দুই মাস নিয়মিত খাওয়া হলে স্থূলতার ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফল ওজন কমাতে সাহায্য করে কিন্তু আম সেই শ্রেণিতে পড়ে না।
আম খেলে কেন ওজন বাড়ে?
ফলের রাজা আম বেশিরভাগ বাঙালির প্রিয়। পুষ্টিবিদদের মতে, ১০০ গ্রাম আমে থাকে ১০০ ক্যালোরি। ফলে কোনও মানুষ যদি দিনে দুই থেকে তিনটি আম খেলে দিনে ১২০০ থেকে ১৫০০ ক্যালরি শরীরে পৌঁছয়। এই ক্যালোরি শরীরচর্চা করে খরচ না করলে দ্রুত ওজন বাড়িয়ে দেয়। আম খেতে অনকের ভাল লাগে। এতটাই যে দিনে সকাল-বিকেলে ২-৩টে খেয়ে ফেলেন। ফলে সাবধান!
কতটা আম খাওয়া উচিত
আপনার ওজন বেশি থাকলে দিনে একটা আম খাবেন না। বরং এক ফালি আম খেতে পারেন। আমে প্রচুর পরিমাণে ফ্রুক্টোজ রয়েছে। অতিরিক্ত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রেও আম খাওয়া সমস্যাজনক। এর সরাসরি প্রভাব পড়বে শরীরে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিনে মাত্র ৩৩০ গ্রাম আম খেতে পারেন। এর বেশি খেলে শরীরে সুগার বাড়ে। সেই সঙ্গে বৃদ্দি পায় ওজন। ফলে আম খান তবে নিয়ন্ত্রণে রেখে।
কখন আম খাবেন?
খালি পেটে কখনও আম খেতে নেই। অন্যথায় পেটের গোলমাল দেখা দিতে পারে। দুপুরে খাবার খাওয়ার ঘণ্টাখানেক পর আম খেতে পারেন। দুপুর ও বিকেলের খাবারের মাঝে আম খান। দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে আম খেলে উপকার মেলে।